স্টাফ রিপোর্টার: দেশের গুরুত্বপূর্ণ দর্শনার দু’টি স্টেশন পার হতে হলে ৭টি রেলগেট অতিক্রম করতে হয়। এ ৭টি রেলগেটের মধ্যে ৪টি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এসব অরক্ষতি গেটগুলোতে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের মাধ্যমে সপ্তাহে ৪দিন ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ও ভারত থেকে আমদানি করা যাবতীয় মালবাহী ট্রেন প্রতিদিন যাতায়াত করে। এছাড়া দেশের দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গ হয়ে দর্শনা হল্ট-স্টেশনের মাধ্যমে বেনাপোল, সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস খুলনা-ঢাকার মধ্যে যাতায়াত ছাড়াও দর্শনা হয়ে প্রতিদিন ৬টি আন্তঃনগর ও ৩টি লোকাল ট্রেন যাত্রীবাহী, মালবাহী ও তেলবাহীট্রেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করে। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের সুপারিনটেন্টডেন্ট মীর লিয়াকত আলী জানান, দর্শনা-মুজিবনগর সড়ক, দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কের ৩টি রেলগেটে ৩ জন করে ৯ জন গেটম্যান দিনরাত দায়িত্ব পালন করেন। বাকি ৪টি অনুমোদনহীন গেটে নিজ দায়িত্বে পার হওয়ার জন্য সাইনবোর্ড দেয়া আছে। তবে বাকি গেটের লোকবল ও অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার সেভ দ্য রোড এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে গত সাত মাসে রেল দুর্ঘটনায় ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়ছে। সংস্থাটির দাবি, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে কিপারদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ে মোট ১ হাজার ৫২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত হয়েছে ১৭৮ জন এবং আহত ১ হাজার ১৭০। রেলের ২ হাজার ৮৫৬টি লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে ১ হাজার ৩৬১টি অবৈধ। এর মধ্যে ৩৩টি ক্রসিং কে বা কারা ব্যবহার করছে তা কেউ জানে না। এছাড়া বৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর মধ্যে ৬৩২টিতে গেটকিপার নেই। অন্যদিকে ২০২০ থেকে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশের রেলক্রসিংসমূহে ১১৬টি দুর্ঘটনায় ২১৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা। সংস্থাটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৩৮ দুর্ঘটনায় ৬৯ জন, ২০২১ সালে ৪৩ দুর্ঘটনায় ৭৬ জন, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত ৩৫ দুর্ঘটনায় ৭৪ জন মারা যান।