দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে অবরোধ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। গতকাল রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত দর্শনা হল্ট স্টেশনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। দুপুরে ডাউন সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং বিকেলে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রাখা হয়। এতে করে দীর্ঘ সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের। এ সময় আন্দোলনকারীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দর্শনা হল্ট স্টেশনের প্লাটফর্ম ও রেললাইনের ওপরে অবস্থান করেন। নানা সেøাগান দিতে থাকেন বিক্ষোভ কারীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে চান তারা। পরে ঊর্ধ্বতন রেল কর্মকর্তাদের আশ্বাসে ট্রেন দুটি যথাক্রমে খুলনা ও ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে রেললাইনের দুই পাশে এবং প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নেন। তারা দর্শনা ও জীবননগরের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে অবিলম্বে এই দুই ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করার দাবি জানান। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজি আকমত আলী, দর্শনা প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রিফাত রহমান ও এএইচ অনিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা। রাজস্ব বেশি যেখানে, ট্রেন থামবে সেখানে। দাবি মানবে না যতক্ষণ, ট্রেন চলবে না ততক্ষণ। দাবি মানবে, ট্রেন চলবে। এমন নানা দাবির ফেস্টুন আর প্ল্যাকার্ড শোভা পায় বিক্ষোভকারীদের হাতে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররাও বক্তব্য রাখেন। এদিকে ট্রেন আটকে স্থানীয়দের বিক্ষোভের খবর পেয়ে দর্শনা হল্ট স্টেশনে উপস্থিত হন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাশফিকুর রহমান ও দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সুন্দরবন ট্রেনের যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বললেও বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি আদায়ে অনড় থাকেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিক্ষোভকারীদের দাবিদাবা নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চলের) পাকশির বিভিন্ন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে ইউএনও অবরোধকারীদের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করেন। পরে সোয়া দুই ঘণ্টা পর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফের খুনলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জিএম, এজিএম এবং আমাদের ডিসি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানান, এটা তো চাইলেই হয়ে যাবে না। একটা প্রসেস আছে। বিষয়টি নিয়ে ওনারা শিগগিরই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসবেন, তারপর একট সিদ্ধান্তে আসবেন।