দর্শনা অফিস: ‘অল্প সময়ে অধিক বৃদ্ধি, পেকিন হাঁসে করবো সমৃদ্ধি’ এ সেøাগানকে সামনে রেখে দর্শনার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামে মাংসের জন্য পেকিন জাতের হাঁস পালনে সফল খামারিদের সফলতার গল্প নিয়ে মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পিকেএসএফ’র সহায়তায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পারকৃষ্ণপুর পূর্বপাড়ায় এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠদিবসের অনুষ্ঠানে পারকৃষ্ণপুর গ্রামের পেকিন জাতের হাঁস পালনে সফল খামারি রুবিনা বেগমের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন দৈনিক সংগ্রামের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি এফ,এ আলমগীর, দর্শনা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সুফিয়ান, মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান। মাঠদিবসের অনুষ্ঠানে স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সুফিয়ান। অনুষ্ঠানে সফল খামারিরা পেকিন জাতের হাঁস পালনে তাদের সফলতার গল্প তুলে ধরেন। তারা বলেন, যদি একটি পরিবারের কোন নারী খামারি তার স্বামীর পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য ৫০টি পেকিন জাতের হাঁস পালন করেন তাহলে হাঁস প্রতি তিন মাসে ওজন হবে তিন কেজি থেকে চার কেজি। যার মূল্য আসবে এক হাজার পাঁচশত টাকা। এই তিন মাসে একটি হাঁসের পিছনে ব্যয় হবে আট থেকে নয়শত টাকা। হাঁস প্রতি লাভ হবে প্রায় ছয়শত টাকা। তাতে করে পঞ্চাশটি হাঁসে ব্যয় হবে পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা এবং বিক্রি হবে পঁচাত্তর হাজার টাকায়। আয় এবং ব্যয় মিলিয়ে লাভ হবে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা। এটা আমরা নারী হিসাবে আামাদের পুরুষের পাশাপাশি বাড়তি আয়। এই আয়ের মাধ্যমে সংসারে যেমন বাড়তি আয় আসবে, তেমনি সংসারে নারী হিসাবে আমাদের গুরুত্ব ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানে অতিথিরা সফল নারী খামারিদের আরও সফলতা কামনা করেন। পাশাপাশি আরও বলেন, এ সকল সফল খামারিরা যেমন নিজের পরিবারের বাড়তি আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তেমনি দেশের আমিশের চাহিদা পুরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অনুষ্ঠানে প্রায় ৬০জন সফল নারী খামারি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথি ও খামারিদের পেকিন হাঁসের রান্না করা মাংশ, সবজি ও ভাত দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।