স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেলগাছি-মাখালডাঙ্গা সড়কে পাটকাঠির আটি ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ছিনতাই কিংবা ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই ব্যারিকেডের মুখেপড়ে সদর থানা পুলিশের দুই সদস্যের একটি টহলদল। এতে ওই পথ দিয়ে চলাচলকারীরা অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন চলাচলকারীরা। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশী চালিয়েও কাউকে আটক করতে পারেনি। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদকর্মী আরিফ হাসান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, সোমবার রাতে ব্যক্তিগত কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা থেকে বেলগাছি সড়ক দিয়ে নিজ বাড়ি হিজলগাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় বেলগাছি খেলার মাঠ পার হয়ে ফাঁকা কিছুদূর পৌছালে সড়কের উপর বেশকিছু পাটকাঠির গাদা ফেলে ব্যারিকেড দেয়া দেখতে পাই। সেখানে পৌছানোর আগেই দেখি সদর থানা পুলিশের একটি দল। পরে পুলিশের সহযোগীতায় পাটকাঠিগুলো সড়কের উপর থেকে সরানো হয়। তিনি আরও বলেন, হয়তো ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের জন্য ব্যারিকেড দেয়া হয়েছিল। আমি পৌঁছানোর ২ মিনিট আগেই টহল পুলিশ ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এ সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। হয়তো পুলিশের উপস্থিতিতে পালিয়ে গেছে। নিয়মিত পুলিশের টহলের জন্য-ই আমরা রক্ষা পেয়েছি। এদিকে ব্যারিকেড সরানোর পর মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স, ইজিবাইকসহ যান চলাচল করতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছে, বেলগাছি-মাখালডাঙ্গা-দীননাথপুর সড়কে মাঝেমাঝেই ছোটখাটো ইজিবাইক, মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। সন্ধার পর গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া ওই সড়ক দিয়ে কেউ চলাচল করেনা। গতকাল পুলিশের টহলের কারণে কারোর কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এভাবে নিয়মিত পুলিশ টহল দিলে অনেকটায় রোধ করা সম্ভব। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুজ্জামান রাকিব দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, রাতে বেলগাছি-মাখালডাঙ্গা-দীননাথপুর সড়কে আমার ডিউটি ছিল। টহল দেয়ার সময় মাখালডাঙ্গা থেকে বেলগাছি আসার পথের মধ্যে সড়কের মাঝে পাটকাঠির ব্যারিকেড দেয়া দেখতে পাই। এ সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাব্যাপী আশেপাশের মাঠে তল্ল¬াশি চালিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকতাদের জানানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহব্বুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। হয়তো কেউ আতংক ছড়ানোর জন্য এই কাজটি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ তৎপর রয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।