ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে শিবির নেতা ইবনুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্টুকে হাজির করা হলে সিআইডি ঝিনাইদহের পরিদর্শক আব্দুর রহিম শ্যোন অ্যারেস্ট আবেদন জানান। এর আগে সকাল ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় মিন্টুকে জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। পৌনে ৯টার দিকে নেয়া হয় ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে। প্রথমেই সিআইডি ঝিনাইদহের পরিদর্শক আব্দুর রহিম পারভেজ হত্যা মামলায় মিন্টুকে গ্রেফতারের আবেদন জানান। আবেদন মঞ্জুর হলে মিন্টুর আইনজীবী শামসুজ্জামান তুহিন জামিনের আবেদন জানান। কোর্ট সাব ইন্সপেক্টর কাজল সরকার সিএসআই জামিনের বিরোধিতা করে পারভেজ হত্যা মামলায় মিন্টু জড়িত বলে দাবি করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক আযম উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মিন্টুকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঝিনাইদহ শহর শাখার সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজকে ২০১৬ সালের ১৭ জুন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করে। ১৭ দিন পর ২০১৬ সালের ২ জুলাই পারভেজের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা স্কুল শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দেন। মিন্টুকে এ মামলার ১২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে প্রতারণার অন্য একটি মামলায় মিন্টুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়া গ্রামের আহাদ আলী। তিনি অভিযোগ করেছেন যে ছয় লাখ টাকা ধার হিসেবে গ্রহণের পরে মিন্টু তা পরিশোধ করেননি।