ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুলশিক্ষক খান মো. আলাউদ্দীন হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদ- ও একজনকে আমৃত্যু কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ আদেশ দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শৈলকুপা উপজেলার শিতলী গ্রামের রান্নু খাঁন, একই গ্রামের জামাল খান ও কানু খাঁন। মামলায় আসামি শামছুর রহমান খাঁনকে আমৃত্যু কারাদ-ের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর তিন আসামী চান্নু খাঁন, জাফন খাঁন ও সাদী খাঁনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। মামলার বিবরণে জানা যায়, শৈলকুপার শিতলী গ্রামের শারমিন নাহারের সঙ্গে সুপারি গাছের মালিকানা নিয়ে রান্নু খানের বিরোধ তৈরি হয়। এরই জেরে ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকালে আসামিরা শারমিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার স্বামী রিপন আলী খাঁনকে মারধর শুরু করেন। সে সময় তাদের চাচা খাঁন মো. আলাউদ্দিন তাদের রক্ষা করতে গেলে তাকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে যান আসামিরা। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে চিকিৎসকরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা নেয়ার পথে আলাউদ্দীন মারা যান। এ ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী মোছা. শিউলী খাতুন বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তিনজনকে মৃত্যুদ- ও একজনকে আমৃত্যু কারাদ- দেন আদালত। মামলার বাকি তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলার রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত নিহতের ছেলে রাশিদুল ইসলাম রাশেদ খাঁন বলেন, আমাদের চোখের সামনেই আমার বাবাকে ওই সাতজন পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। রায়ে আমরা খুশি। তবে মামলার তিন আসামিকে খালাস দেয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছি। তাদের শাস্তির জন্য পুনরায় উচ্চ আদালতে আপিল করবো। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ইসমাইল হোসেন বাদশা বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। তবে আদালতের কাছে দ্রুত রায় কার্যকরের আশা করছি।