ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলায় সড়ক-মহাসড়কে প্রায় ৬০ হাজার মোটরসাইকেল চলছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা। বেপরোয়া চালনার জন্য ঘটছে দুর্ঘটনা। মানুষ হতাহত হচ্ছে। জেলার বিআরটিএ অফিসের পরিদর্শক মইদুর রহমান জানান, রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
জেলা ট্রাফিক অফিসসূত্রে জানা যায়, এর বাইরে অনটেস্ট ও অন্য জেলার রেজিস্ট্রেশন করা মোটরসাইকেল আরও ১০ হাজার হবে। সড়ক-মহাসড়কে এখন শুধু মোটরসাইকেল আর মোটরসাইকেল। পিঁপড়ার সারির মতো লাইন ধরে মোটরসাইকেল চলে। কখনো যেন উল্কার গতিতে সাপের মতো আঁকাবাঁকা করে চালানো হচ্ছে। কোনোটিতে দুই জন, কোনোটিতে তিন জনও আরোহী আছে। আবার কোনো মোটরসাইকেলে পুরো পরিবারের চার-পাঁচ জনও চলাচল করছে। তরুণ চালকের সংখ্যা বেশি। কোনো কোনোটি অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ির মতো সাইরেন বাজিয়ে চলছে। বেপরোয়া গতিতে চালনার জন্য মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত (প্রায় পাঁচ মাস) মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন মারা গেছে। অধিকাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয় না। স্বজনরা লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়া বাড়িতে নিয়ে দাফন করছেন। আর কখনো বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে, দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আবার বেপরোয়াভাবে চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গেও ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। বিকেলে বিভিন্ন সড়কে তরুণদের মোটরসাইকেল মহড়া দিতে দেখা যায়। এদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। বেশির ভাগ স্কুল-কলেজের ছাত্র। জেলার শহর ও গ্রামাঞ্চলে মোটরসাইকেল দোকান গড়ে উঠেছে। কিস্তি বা বাকিতে মোটরসাইকেল কেনা যায়। এজন্য সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিআরটিএর দপ্তরে মাসে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের নতুন আবেদন জমা পড়ছে।
ঝিনাইদহের ট্রাফিক পরিদর্শক সালাউদ্দিন জানান, মোটরসাইকেল সংখ্যা ও দুর্ঘটনা এড়াতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। আবদার করলেই মোটরসাইকেল কিনে দেয়া যাবে না। বেপরোয়া গতিতে চালনার কারণে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে বলে তিনি আরো জানান।