ঝিনাইদহে বিয়ের নামে প্রতারণায় সর্বশান্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী

বাজার গোপালপুর প্রতিনিধি: প্রতারক বাবা ও মেয়ের প্রতারনায় সর্বশান্ত হয়েছেন ঝিনাইদহের এক প্রবাসী যুবক। প্রতারণা করে প্রবাসীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। সর্বশান্ত প্রবাসী যুবক আকরাম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুর নওদাপাড়ার মনোয়ার হোসেনের ছেলে। বর্তমানে সে মালয়েশিয়া প্রবাসী। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে তার পক্ষ থেকে তার বোন বিথি খাতুন ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী প্রবাসী যুবক আকরাম হোসেন জানান, দেড় বছর আগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আমেনা খাতুনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন মোবাইলে কথা বলার পর তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করবে। স্থানীয় কাজির মাধ্যমে তারা বিয়েও করেন। এরপর সবকিছু ঠিকমতই চলছিলো। বিয়ের কিছুদিন পর আকরাম মালয়েশিয়া চলে যান। যাওয়ার পর মেয়ের খরচ ও তার পরিবারের জন্য বিভিন্ন সময় খরচ পাঠাতেন আকরাম হোসেন। এর মাঝে স্ত্রী আমেনা খাতুনকে সোনার গয়না, স্মার্ট ফোন, পায়ের নুপুরও পাঠান প্রবাসী ওই যুবক। এরপর থেকে শুরু হয় আমেনা ও তার পিতার প্রতারণা। ব্যবসায় করার কথা বলে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা নেয় তারা। পরে দফায় দফায় সর্বমোট ৪ লাখ নেয় তার পরিবার। টাকা নেয়ার পর থেকে আকরামের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। স্ত্রীকে বাড়িতে আনতে চাইলে তারা আমাকে হুমকিও দিচ্ছে।
আকরাম অভিযোগ করে বলেন, আমার সাথে বিয়ের পর থেকে প্রতারণা শুরু করেছে আমেনা ও তার পিতা। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি ওরা আমাকে সর্বশান্ত করবে। আমি যা আয় করেছি তাও তাদের দিয়েছি। গ্রামে যা ছিলো তাও দিয়েছি আবার এখান থেকেই ধার করে আমেনা ও তার পিতাকে টাকা দিয়েছি। এখন আমার সাথে কোন যোগাযোগ করছে না। ফোন দিলে গালিগালাজ করে। আমি আমার টাকা ফেরত চাই। অভিযোগকারী আকরামের বোন বিথী খাতুন বলেন, আমরা ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখেছি আমেনার পিতা পেশায় রাজমিস্ত্রী। সে মানুষের সাথে এমন প্রতারণা করে। তার আরও দুটি মেয়ে আছে তারাও এমন দুজন প্রবাসীকে ঠকিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি এর সুষ্ঠু বিচার আমরা পাবো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমেনা খাতুনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তার পিতা বলেন, আপনি কার কাছ থেকে এসব শুনেছেন। যে বলেছে তার কাছে যান। বিয়ে হয়েছে তার কোন প্রমাণ আছে নাকি? এসব কথা বলে কোন লাভ হবে না বলে ফোন কেটে দেন।