ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের হরিনাকু-ু উপজেলার ৬নং ফলসী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার লক্ষে দলের প্রবীন নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. বজলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনের আহবান করেন। সোমবার বিকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাব মিলনাতনে দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মলনে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে নৌকা বিরোধীদের নানামুখী ষড়যন্ত্র এবং নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে তাকে বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মাত্র ৩৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী অবস্থানের কারণে এবারের নির্বাচনে ফজলুর রহমান তার দলীয় মনোনয়ন না পাবার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিজ অর্থ ব্যয়ে ভোটের মাঠে লড়তে অক্ষম নিমাই চাঁদ মন্ডলকে ডামি প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ করানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান নৌকা প্রার্থী নিমাই বাবুর প্রকৃত পক্ষে কোন ভোট নেই। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে তিনি নির্বাচনী এজেন্ট দিতে অক্ষম বলেও দাবি করা হয়। এছাড়া নিমাই বাবু কখনোই নিজেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইতঃপূর্বে ঘোষণা করে নাই। কোন চাপের মুখে কিম্বা অজ্ঞাত কোন কারণে তিনি শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ছবি প্রদান করেন । সংবাদ সম্মলনে অ্যাড. বজলুর রহমান আরও বলেন, স্বার্থন্বেষী একটি মহল মনোনয়ন বোর্ডকে ভুল তথ্য সরবরাহ করে জনসমর্থনহীন এমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন পেতে সাহায্য করেছে। আওয়ামীলীগের মত একটি গৌরবান্বিত ঐতিহ্যবাহী দলের প্রার্থী জনসমর্থন বিহীন ব্যক্তি হওয়ায় ইউনিয়নটির হাজার হাজার দলীয় নেতা কর্মী ব্যথিত, মর্মাহত ও বিক্ষুব্ধ। বিষয়টি তদন্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্লিন ইমেজের জনপ্রিয় দলীয় ব্যক্তিকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দের জন্য দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় মনোনয় বোর্ডের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান। এদিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১৪নং দুধসর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাব মিলনাতনে দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারমান মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী জোয়ার্দার। তিনি বলেন, গত ১০০ বছরের উপরের তার পরিবার চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের সেবা করে আসছে। বর্তমানে তার ছোট ভাই মো. সায়ুব আলী চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন। পরপর তিনি দুইবার দলীয় প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু তার ভাইকে অসুস্থ ও আইসিইউতে ভর্তি আছে এমন তথ্য পরিবেশন করে দলের হাইকমান্ডকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মোঃ শাহাবুদ্দিন নামে একজনকে নৌকা প্রতিক দেওয়া হয়েছে। মূলত তিনি জনবিছিন্ন। এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। সেইসাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ।