জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে বিএডিসির সানসাইন জাতের আলুবীজ কিনে ক্ষতির মুখ পড়া আলু চাষিরা অবশেষে ক্ষতিপূরণ পেতে যাচ্ছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিএডিসির দত্তনগর খামারের অর্ন্তগত পাথিলা কোল্ড স্টোরে এ সালিসসভায় ক্ষতিগ্রস্থ ১১জন আলু চাষিকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা আলু চাষিদের হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানা যায়।
উপজেলার বেশ কয়েকজন আলুচাষির অভিযোগ, গত মরসুমে সানসাইন জাতের আলুর চাষ করে অধিক ফলন হওয়ায় এবারও মিনাজপুর, কন্দর্পপুর ও বৈদ্যনাথপুরসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার আলু চাষিরা সানসাইন জাতের আলু চাষের দিকে ঝোকেন। বিএডিসির সানসাইন আলুবীজ প্রতি কজি ৫৮ টাকা নির্ধারিত দাম হলেও আলু চাষিরা সাব-ডিলারর মাধ্যমে দ্বিগুণ ১১০ টাকা কেজি দরে আলুবীজ কিনে লাগান আলু চাষিরা। আলু লাগানো পর সানসাইন আলুবীজ হতে চারা না গজানোতে চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ অবস্থায় বিএডিসির দত্তনগর আলু বীজ হিমাগারের উপ-পরিচালক ফরিদুল ইসলাম, বিএডিসির সার-বীজ ডিলার রাজেদুল ইসলাম ও বৈদ্যনাথপুরে আলুবীজ ব্যবসায়ী মহাসিন আলীর বিরুদ্ধে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগে ক্ষতি পূরণসহ দায়ী ডিলারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। পরবর্তীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ক্ষতিগ্রস্থ আলু চাষিরা। করেন থানায় অভিযোগ। কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে এর সত্যতা পায়। এ অবস্থায় গতকাল ক্ষতিগ্রস্থ আলু চাষিদের নিয়ে পাথিলা কোল্ড স্টোরে পুলিশের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠক বসে। বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্থ আলু চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে উপ-পরিচালকসহ অভিযুক্ত ওই দুই ডিলার ও সাব-ডিলার ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দেন বলে জানা যায়।