জীবননগর ব্যুরো: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জীবননগর উপজেলার কৃতি সন্তান ড. কেএম হাফিজুল আলম স্বপনকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে জীবননগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রবীণ শিক্ষক শওকত আলী মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিচারপতি ড. কেএম হাফিজুল আলম। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জীবননগরবাসীর পক্ষসহ জীবননগর প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি, জীবননগর পাইলট হাইস্কুল, জীবননগর উপজেলা খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি, জীবননগর সাহিত্য পরিষদ, কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বিচারপতি ড. কেএম হাফিজুল আলম তার দেয়া বক্তৃতায় বলেন, আজ আমি অভিভূত। আমার উপজেলাবাসী যেভাবে আমাকে সম্মানিত করেছেন তাতে আমি আনন্দিত ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধান অতিথি বলেন, দেশে এবং বিদেশে এলাকার অনেক কৃতি সন্তান রয়েছে। যাদেরকে সম্মানিত করার প্রয়োজন। গুণীদের সম্মানিত না করলে সমাজে গুনি ব্যক্তির জন্ম হবে না। বিচারপতি বলেন, এলাকা ও দেশের উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সন্তানকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমাদেরকে স্বপ্ন দেখতে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। যে স্বপ্ন নিয়ে তোমাদের পিতা-মাতা কঠোর পরিশ্রম করে তোমাদের শিক্ষা গ্রহণে পাঠিয়েছেন তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। একটি লক্ষ্য পূরণ হলে আরেকটি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, মাদক থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে হবে। কেননা মাদক আমাদের সমাজ ও সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাঈফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, জীবননগর ডিগ্রি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সমাজসেবক কাজি বদরুদ্দোজা, জীবননগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকি ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম আর বাবু। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল ও সমন্বয়ক সাংবাদিক কামাল সিদ্দিকী বাবু।