জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলায় সাহেদা খাতুন (৪৫) নামে এক নারীকে কুপিয়েছে তারই প্রাক্তন মেয়ে জামাই তরিকুল ইসলাম। তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার হাসাদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাহেদা খাতুন হাসাদহ গ্রামের মাদরাসাপাড়ার মিজানুর রহমানের স্ত্রী। অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন চারাভিটা গ্রামের মৃত ইউসুফ ফকিরের ছেলে।
মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর নির্যাতনের শিকার হয়ে সবার সিদ্ধান্তে গত পাচ মাস পূর্বে আমার মেয়ে স্বপ্না খাতুন (ছদ্মনাম) তার স্বামী তরিকুল ইসলামকে ডিভোর্স দেয়। এরপর আমার মেয়ে আমার কাছেই থাকতো। গত এক সপ্তাহ আগে আমার মেয়েকে দেখাশোনা করে আবার বিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি তরিকুল ইসলাম জানতে পেরে গতকাল রাতে গোপনে আমার বাড়িতে আসে। এরপর আমার স্ত্রী সাহেদা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। মূলত আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যেই আসে। মেয়েকে হাতের কাছে না পেয়ে আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
মিজানুর রহমানের মেয়ে বলেন, গতকাল রাতে ঘরের মধ্যে আমি ও আমার মা টেলিভিশনে সিনেমা দেখছিলাম। এসময় বারান্দার বৈদ্যুতিক লাইট ভাঙ্গার আওয়াজ আসে। আমার মা ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ায় সাথে সাথে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আমি চিৎকার করলে পালিয়ে যায় তরিকুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, নির্যাতনের কারণে তরিকুলকে গত পাঁচ মাস আগে ডিভোর্স দিই। এরপর গত এক সপ্তাহ আগে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয় যশোরে। খুব ভালোই যাচ্ছিল দিনকাল। বিয়ের কথা জানতে পেরে আমাকে হত্যার করতেই এখানে আসে তরিকুল। আমাকে বাগে না পেয়ে আমার মাকে কুপিয়েছে। আমি এর বিচার চাই। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মর্তুজা আহসান বলেন, সাহেদা খাতুন অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তার হাতে ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের আলামত আছে। সেখানে ১০-১৫ টা সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।
জীবননগর থানার ওসি আব্দুল খালেক বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।