জিপু ও জিল্লুর পর এবার নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ষড়যন্ত্রের শিকার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের মুক্তিপাড়ায় চুয়াডাঙ্গা আ.লীগের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইলহাস ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ। জেলা যুবলীগের সদস্য হাফিজুর রহমান হাপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সদস্য আজাদ আলী, অ্যাড. তসলিম উদ্দিন ফিরোজ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জুয়েল রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও যুগ্ম-আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের পর এবার নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ষড়যন্ত্রের শিকার। চুয়াডাঙ্গায় একটা অপশক্তি, একটা পরিবার নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমাদের এই বৃহৎ জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগে পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছে। তারাই জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে আমরা যখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ও দলকে সুসংগঠিত করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। তখন দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু সুবিধাভোগীরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে আছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিবারের লোকদের সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগ ও এর অংগ সংগঠনের ত্যাগী নেতাদের একের পর এক অত্যাচার শুরু করেছেন। দুঃসময়ে যারা কোনোদিন আওয়ামী লীগ করেননি আজ একটি পরিবারের সদস্য ও তাদের আত্মীয় হওয়ায় সুসময়ের সকল সুবিধা ভোগ করছে। একইসাথে তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যখনই কেউ প্রতিবাদ করেছে তাকেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আজ তাদেরই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষ ও প্রশাসন সব বিষয়ে অবগত আছেন। এর আগে ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও জিল্লুর রহমানও একই রকম ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। আজ সারাদেশে আওয়ামী লীগের সুসময়। কিন্তু চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের করুণ অবস্থা। এর জন্য দায়ী একটি পরিবার ও তার কিছু আত্মীয়-স্বজন। এরা যেমন দলের দুঃসময়ে ছিলো না তেমন আবার দুঃসময় এলে বিদেশ পালাবে। কারণ তাদের দলের প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই। তারা এখন দলের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত। চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী লীগকে তারা এখন পরিবার লীগ বানাতে চেষ্টা করছে। এ সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে আজ আমরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়েছি। আমরা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সকলপ্রকার ষড়যন্ত্র একসাথে মোকাবেলা করবো। চুয়াডাঙ্গা জেলায় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে যা যা করণীয় তাই আমরা করবো। এর জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, সদস্য শিকদার রাকিব হাসান মানিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইমদাদুল হক সজলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

 

Comments (0)
Add Comment