স্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, দেশের মানুষ আজ নিদারুণ জীবনযাপন করছেন। অবৈধ সরকারের দায়িত্বহীন আচরণ আর সীমাহীন লুটপাট দুর্নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের জনগণকে। দেশের মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে মুক্তি লাভের আশায়। তাই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। তিনি গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আপনারা তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ এই দলের প্রাণশক্তি। আপনারা প্রস্তুত থাকবেন চূড়ান্ত নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি ভি.জে স্কুল মাঠ (চাঁদমারী মাঠ) এ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু। তিনি বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে যাদের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হবে তাদেরকে যথাযথভাবে সাংগঠনিক কাজ করতে হবে অন্যথায় দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা নিয়মিতভাবে দলের সকল স্তরের কাউন্সিল করার জন্য বদ্ধপরিকর। দীর্ঘদিন কমিটি আটকে থাকার যে জটিলতা সেটি আর হতে দেয়া হবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে দল এখন গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই পরিচালিত হবে। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্ত করার মধ্যদিয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কু-ুু ও প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কু-ু বলেন, পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে বিএনপি কখনই ছিলো না আমরা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কথা বলছি। জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে ঠিকই কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। প্রধান বক্তা শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাজানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করায় আমাদের লক্ষ্য। আপনারা আস্থা রাখুন, কথা দিচ্ছি দলের জন্য যাদের এতোটুকুও অবদান তাদের সকলকে স্মরণে রাখা হবে। আলোচনার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, প্রয়াত নেতাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের যুগ্মআহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন পৌর বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু। পৌর বিএনপির সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন পৌর বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল ইসলাম মনি, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম। জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য মনিরুজ্জামান লিপ্টন এবং পৌর বিএনপির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ মালিক সুজনের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, নুর নবী সামদানী, মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান শেখন, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন রুবেল, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাকিম মুন্সী, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান লাল, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন স্বপন, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাকের আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিন্টু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক বকুল, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বিপুল হাসান হ্যাজি, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব কাউন্সিলর মহলদার ইমরান রিন্টু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল হাসান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এসএম হাসান, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ রানা ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান। সদর উপজেলার সকল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের সভাপতি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা,জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি পদে মোঃ সিরাজুল ইসলাম মনি, সাধারণ সম্পাদক পদে মাহমুদুল হক পল্টু, সিনিয়র সহসভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সোহেল আহমেদ মালিক সুজন নির্বাচিত হন। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মনিরুজ্জামান লিপ্টন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে এম আর মুকুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. মহাবুল হক সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে কাউন্সিলররা নির্ধারিত বুথে ভোট প্রদান করেন। নির্বাচন কমিশনে প্রধান কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাড. সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, সহকারী কমিশনার ছিলেন অ্যাড. খন্দকার শহিদুল ইসলাম মানি ও অ্যাড. আসাদুজ্জামান মিল্টন।