দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদায় গরু চুরির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ছাগল চুরির হিড়িক পড়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা ঈদকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছে এলাকার সংঘবদ্ধ চোরচক্র। গত শুক্রবার দামুড়হুদার নাপিতখালী গ্রামে চোরাই ছাগলসহ এক ছাগলচোরকে গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ছাগল মালিক দামুড়হুদা দশমীপাড়ার ডালিম বাদী হয়ে উত্তর চাঁদপুরের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে ফারুক হোসেন (৪০) ও দশমীপাড়ার দলু কসাইয়ের ছেলে আকালের (৩৯) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আটক ছাগল চোর ফারুককে গতকাল শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছেন। পলাতক অপর আসামি আকালেকে গ্রেফতার করতে পুলিশি জাল বিস্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দামুড়হুদা মডেল থানার নবাগত ওসি সাইফুল ইসলাম।
মামলার এজেহারসূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা দশমীপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে ডালিম তার একটি কালো রঙের ছাগল নিজ বসত বাড়ির সামনে গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বেঁধে রাখেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পরিবারের লোকজন ছাগলটি দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরই এক পর্যায়ে লোক মারফত জানতে পারেন নাপিতখালী গ্রামে একটি চোরাই ছাগলসহ ছাগল চোর ফারুককে স্থানীয় লোকজন গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখেছে। ডালিম তাৎক্ষণিক তার ছোট ভাই লিটনসহ থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ আটক ছাগল চোরকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। তার দেয়া তথ্য মতে দশমীপাড়ার দলু কসাইয়ের ছেলে আকালের নিজ বসতবাড়ির গোয়ালঘর থেকে ডালিমের চুরি হয়ে যাওয়া ছাগলটি উদ্ধার হয়। দামুড়হুদা মডেল থানার নবাগত ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, আটক ছাগল চোর ফারুককে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার এজেহার নামীয় অপর আসামি আকালেকে গ্রেফতার করতে পুলিশি জাল বিস্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই থানায় কোনো চোরের ঠাঁই হবে না। অচিরেই চোরচক্রের শেকড় উপড়ে ফেলা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ দামুড়হুদা পুড়োপাড়া গ্রামের রনির বাড়ি থেকে একটি চোরাই ফ্রিজিয়ান গাভী ও একটি এঁড়ে গরু উদ্ধার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পরদিন রাতে দামুড়হুদা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উজিরপুর শখেরপাড়ার আবদুল আলিমের বাড়ি থেকে আরও দুটি চোরাই গরু উদ্ধার হয়। গরু চোর রনি ও তার পিতা শাহাবুদ্দিন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।