স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পোলে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজন বিদ্যুৎকর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের সার্কিট হাউজের নিকট একটি বৈদ্যুতিক পোলে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবিপাড়ার চাঁদ আলীর ছেলে শামীম (৪০) ও সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ এলাকার মৃত জমাত আলীর ছেলে আব্দুল খালেক (৭০)। আহত দুজনই পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড চুয়াডাঙ্গা দপ্তরে কর্মরত।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় আহত দুই বিদ্যুৎকর্মীসহ রোগীদের মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে চিকিৎসা দিতে দেখা গিয়েছে। অপরদিকে ওই সময় সদর হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর চললেও জরুরি বিভাগ ছিলো অন্ধকার। অন্যান্য কক্ষে আলো জ্বললেও জরুরি বিভাগে অন্ধকার থাকার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার মধ্যেই পড়ে বলে জানায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনেরা। এর আগেও জরুরি বিভাগে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও গতকালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবারও প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজের সামনে একটি বৈদ্যুতিক পোলে কাজ করছিল এই দুই কর্মী। এসময় ওই ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তবে ওই সময় কোন প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চলছিল। এই পোলে জেনারেটরের সংযোগ থাকায় তারের লিকেজে হাত পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিটে পড়ে যায় এই দুই কর্মী। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলেও হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর চললেও শুরু জরুরী বিভাগ ছিলো বিদ্যুৎবিহীন। এ নিয়ে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম আসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। প্রায় সোয়া এক ঘন্টা পর জরুরী বিভাগে আলো জ্বলতে দেখা যায়। নাম না প্রকাশ করা শর্তে কয়েকজন রোগী ও স্বজনেরা বলেন, কোথাও বিদ্যুৎ না থাকলেও জরুরী বিভাগের মত এই জায়গায় বিদ্যুৎ থাকা উচিত। তাও সেই সময় হাসপাতালের জেনারেটরও চলছিল। হাসপাতালের সমস্তস্থানে বিদ্যুৎ থাকলেও জরুরী বিভাগে নেই। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন হওয়া দরকার বলে মনে করি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইদুজ্জামান বলেন, আহত দুজনের শরীরে জখমের চিহ্ন আছে। তাদের শরীরে বেশ কয়েকটা সেলাই দেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জরুরি বিভাগে বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এ সময় মোবাইলের আলো জানিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হয়। প্রায় পোয়া ১ ঘন্টা পর বিদ্যুতের দেখা মেলে জরুরি বিভাগে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে জরুরী বিভাগে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। ওই সময় কেন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলো না তা আমার জানা নেই। অন্ধকারে চিকিৎসা দেয়াটা আসলেই দুঃখজনক। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।