স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার তিতুদহের আড়িয়া গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দু’পক্ষ ৩০ জনকে আসামি করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা হোসেন ও শামীমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাল্টাপাল্টি মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে আড়িয়া এবং তিতুদহ গ্রামের অনেকেই এখন বাড়িছাড়া।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে পূর্ববিরোধের জের ধরে ৯ ফেব্রুয়ারি তিতুদহ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার ১৫-২০ জন উশৃঙ্খল যুবক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেল ও আলমসাধুতে করে আড়িয়া গ্রামের বসতিপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ হামলায় জাহাঙ্গীর, স্ত্রী মমতাজ বেগম, ভাই আওলাদ হোসেন ও আহাদ আলীর ছেলে শিমুল হোসেন রক্তাক্ত জখম হন। অপরদিকে পাল্টা আক্রমণে হামলাকারীদের মধ্যে তিতুদহ গ্রামের দক্ষিণপাড়ার হাতেমের ছেলে হোসেন আলী ও আছেরদ্দিনের ছেলে শামীমকে বেধড় মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে জাহাঙ্গীরের বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর হোসেনর ভাই আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে হোসেন আলীকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামির তালিকায় যাদের নাম আছে তারা হলেন, আবু সামা, মানিক হোসন, হাসিবুল ইসলাম, রেজাউল করিম, নজির, রাজ্জাক, শামিম হোসেন, গাজী সর্বসাং তিতুদহ, হামিদুল, ইজাজুল, মামুন হোসেন, শামিম হোসেন, জালাল হোসেন, ওসমান, মুফা, বকুল হোসেন, খোকন, শাহিন সর্বসাং ৬২ আড়িয়া, মান্দার হোসেন সাং গিরীশনগর। অপরদিকে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়া হোসেনর ভাই গাজিরদ্দিন বাদি হয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে দর্শনা থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারে যাদের নাম আছে আজিজ ড্রাইভার, ইনারুল, সুইট, আওলাদ হোসেন, কবির হোসেন, জাহিদ, কাজল, আমিরুল সর্বসাং ৬২ আড়িয়া ও ডালিম হোসেন তিতুদহ বাগানপাড়া। পুলিশ আওলাদ হোসেনের মামলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা হোসেন আলী ও শামীমকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শামীম হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন থাকলেও হোসেন আলীকে আদালতে সোপর্দ করেছেন। এদিকে গ্রামবাসীর অনেকেই জানান, বিষয়টি মামলা পর্যায়ে না গিয়ে সুধীমহলকে নিয়ে বসে আপস মিমাংসার প্রত্যাশা ছিলো আমাদের। একদিন না একদিন এলাকাবাসীর ঘাড়েই এ ঘটনার আপস মিমাংসার দায়ভার এসে পড়বে। মাঝখান দিয়ে উভয়পক্ষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আমরা মনে করছি। অতীতে এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে এবং গ্রামপর্যায়েই মিমাংসা হয়েছে। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এইচএম লুৎফুল কবির বলেন, এঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।