স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের জুন মাসের মাসিকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও জেলা পরিষদের আয় বৃদ্ধির বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহান, সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. রোকনুজ্জামান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা রমজান আলী। এছাড়া, জেলা পরিষদের সদস্য নুরুন্নাহার কাকলী, হাছিনা খাতুন, কাজল রেখা, তানিয়া বেগম, মিতা খাতুন, জহুরুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান মোল্লা, আবু মুছা, তপন কুমার বিশ্বাস, খলিলুর রহমান, রকিবুল হাসান, সিরাজুল ইসলাম, শফিউল কবির, মোসাবুল ইসলাম লিটন ও শফিকুল ইসলাম নান্নু, জেলা পরিসদের প্রধান সহকারী ইসরাইল হোসেন, হিসাবরক্ষক আসলাম উদ্দিন, উচ্চমান সহকারী বেদানা খাতুন, চেয়ারম্যানের গোপনীয় সহকারী জালাল উদ্দিন ও সার্টলিপিকার মৌসুমী আক্তারসহ কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মাসিকসভায় চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টমোড়ে জেলা পরিষদের নিজস্ব জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ, বিদ্যুত অফিসের সামনে, দৌলাতদিয়াড়, নীলমনিগঞ্জ মোড়, সরোজগঞ্জ খাদ্য গুদামের সামনে, দামুড়হুদার ডাকবাংলোর সামনে এবং মদনা বাজারে দোকান ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় কাজ করতে না পারায় ২০১৮-২০২৯, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এডিপির আওতায় প্রকল্প পরিবর্তন বা সংশোধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের রাজস্ব তহবিল থেকে ২৭ লাখ টাকার ত্রাণ বিতরণের অনুমোদন করা হয়। এছাড়া, বিভিন্ন প্রকল্পের দরপত্র অনুমোদন এবং গাছের ডাল-পালা বিক্রির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান বলেন, জেলা পরিষদ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান। আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যতটুকু পারি করবো। প্রকল্পের বিষয়ে পুনরায় চূড়ান্ত চিঠি দিতে হবে। না আসলে বাতিল হবে। জেলা পরিষদের নিজস্ব জমিতে দোকান ঘর নিমার্ণ হলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। এ টাকা জেলার উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা যাবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেয়া কিনা পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।