স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আব্দুর রহমান সঞ্চালনা করেন। সভায় জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা, সিভিল সার্জন (সিএস) ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সদস্য সচিব (এডিএম) নয়ন কুমার রাজবংশী, ৬-বিজিবি’র উপঅধিনায়ক হায়দার আলী, আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট ফারুক ইসলাম, গাংনী র্যাবের ডিএডি হারুন, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমীন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র, জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মন্ডল, পরিবার পরিকল্পনা অধিপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার সাহা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল, জেলা কারাগার তত্বাবধায়ক দেওয়ান তরিকুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. আহসান আলী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, বিআরটিএ’র পরিদর্শক নজরুল ইসলাম ও গ্রাম অঅদালতের জেলা ম্যানেজার মো. আছাদুজ্জামানসহ সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নেই। ১০০ শয্যার হাসপাতালে রোগীদের পথ্য দেয়া হয় ৪৫জনের। চিকিৎসক বদলি হওয়ায় নতুন চিকিৎসক পদায়ন দেয়া হচ্ছে না। এতে করে এলাকার মানুষেরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ২৬টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় ৭টি বিষয় বেড়েছে। অপমৃত্যু ১৮টি হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যুর হার বেশি। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, একজন নারীসহ বিশিষ্ট নাগরিক কমিটিতে আরও ১৪জন বৃদ্ধি করা হবে। উপজেলা পর্যায়েও কমিটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। অফিস-আদালতে চুরি রোধে নাইট গার্ডদের সতর্ক করবেন। এটা দপ্তর প্রধানের দায়িত্ব। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার লাইট ও পানির লাইন সুরক্ষিত আছে কিনা সেটাও দেখবেন। সভায় পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ নিয়ে মারামারি, তার আগে বেল নিয়ে মারামারি। আমাদের সহনশীলতা কোন পর্যায়ে আছে। এর চেয়ে বড় কিছু হতে পারতো। এসব ছোট বিষয়ে কেন এত উত্তেজনা। চুরি বেড়েছে। ভাংড়ি দোকানগুলো নজরে আনবো। জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে হবে সম্ভব না। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নাগরিক। হেলমেট পরা, হর্ণ না বাজানো। এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। জরিমানা বাড়ানো হবে। ইজিবাইক চালকদের কর্মশালা করা হবে। জনবান্ধব পুলিশ গড়তে যেদিন জিডি করা হবে ওইদিনই যেন সেবা প্রার্থীর বাড়িতে যায় পুলিশ। কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের মন্ত্রণালয থেকে বদলি করা হয়েছে। আমরা কিছু জানতেও পারি না। চুয়াডাঙ্গা থেকে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা যাবে। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। মেডিসিন কনসালটেন্ট ও রেডিওলজিস্ট বদলি হয়েছে। অ্যানেসথেসিয়া দীর্ঘদিন নেই। ফলে, স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম অবস্থা।