এমআই মিরাজঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার মহোৎসব। একদিকে আধুুনিক মেশিন দিয়ে, পাশাপাশি জোন মুনিষ দিয়ে হাতে কাটছে ধান। এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলতি বোরো চাষ মরসুমের লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ৩২ হাজার ৭২৫ হেঃ জমিতে। জেলার চার উপজেলায় আবাদ হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৪৬ হেঃ জমিতে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৬ হাজার ১৩০ হেঃ, দামুড়হুদা উপজেলায় ১০ হাজার ১৭২ হেঃ, জীবননগর উপজেলায় ৬ হাজার ৯৮০ হেঃ ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১২ হাজার ৪৪৬ হেঃ জমিতে রোবো ধান আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্য মাত্রা অতিক্রম করে ৩ হাজার ২০ হেঃ জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। কৃষকদের ঠিক ঠাক পরিচর্যা সেচ,সার, ও প্রকৃতিক দূযোগ না হওয়ায় এবছর ধানের ভালো ফলন হয়েছে। এ জেলার কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে ধান কাটা মাড়ায়ে। জোন মুনিষের দাম কিছুটা বৃদ্ধি হয়েছে। এরপরও প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে ধান কাটা মাড়ায় চলছে। বিভিন্ন যানবহনযোগে ধান বাড়ি এনে মাড়াই করে সোনার ফসল ঘরে তুলছে কৃষকরা। জেলার যে মাঠের দিকেই তাঁকানো যায় সে মাঠেই এখন ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা য়ায় কৃষকদের। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান কাটা শেষ হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। তবে হাউব্রীড জাতের ধান কাটতে একটু বেশি সময় লাগবে। চলতি বছরে বোরো আবাদে সেচ সুবিধার কোনো ঘাড়তি ছিলো না। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ছিলো পুরো মরসুম জুড়ে। জেলার দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় সব চেয়ে বেশি বোরো আবাদ হয়ে থাকে। তবে এ মরসুমে জেলার কৃষকরা ধানের পাশাপাশি গো খাদ্য হিসেবে বিচালির উপরও এবার গুরুত্ব দিচ্ছে।
দামুড়হুদার মোক্তারপুর গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান টোকন জানান, চলতি বোরো মরসুমে ১বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। এ পর্যন্ত আমার ১৪হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর এক সপ্তাহ পর আমার জমির ধান কাটা যাবে।
দামুড়হুদার জয়রামপুর মাঠপাড়ার কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, এ মরসুমে আমার ৭বিঘা বোরো আবাদ আছে। ইতিমধ্যে কাটা মাড়ায় কাজ শুরু হয়েছে। বিঘাপ্রতি আমার খরচ হয়েছে ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ মরসুমে আকাশের পানি না থাকায় খরচ একটু বেশি হয়েছে। আমার ক্ষেতের ধানে বেশ ফলন হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো মনিরুজ্জামান মনির দৈনিক মাথাভাঙ্গা কে বলেন, চলতি বোরো মরসুমে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। এ মরসুমে বোরো আবাদে ফলনও ভালো হয়েছে। বোরো ধান কাটা মাড়া শুরু করেছে কৃষকরা। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বোরো মরসুমের ধান কাটা মাড়ায় শেষ হবে। তিনি আরো বলেন, এ মরসুমে দামুড়হুদা উপজেলার কিছু কিছু স্থানে আধুনিক যন্ত্র ( কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার) মেশিনের মাধ্যমেও ধান কাটা মাড়া হচ্ছে। যার ফলে শ্রমিক সংকটের ঘাড়তি পূরণ সহ খরচ কম হবে বোরো চাষিদের।