দামুড়হুদা অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলা জজকোর্টের নাজির মাসুদুজ্জামান মাসুদের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, প্রতারণা, দুর্নীতিসহ হুমকি-ধামকির অভিযোগ তুলে ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী দামুড়হুদা উপজেলার ঝাজাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে স্বশরীরে হাজির হয়ে তিনি ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আদালতে আমার ৫১/২০০৭ নং দেওয়ানী একটি আপিল বিচারধীন ছিল। তখন পেশকার ছিলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। আপিল বিচারাধীন থাকাকালীন পেশকার আমাকে বলেন, নিচের আদালতের রায় প্রতিপক্ষের পক্ষে গিয়েছে। এখন আপনি যদি টাকা না দেন তাহলে আমার করার কিছুই নেয়। রায়পক্ষে আনার জন্য আমি ২০০৯ সালে আমার ভিটে জমির কিছু অংশ বিক্রি করে আড়াই লাখ টাকা পেশকারকে দিই। টাকা পাওয়ার পর থেকে আপিলের রায় আজ হবে কাল হবে বলে ঘোরাতে থাকে। এভাবে মিথ্যা কথা বলে আমাকে দীর্ঘদিন ঘোরানোর পর ২০১৮ সালে আপলিটির রায় হওয়ার কয়েকদিন আগে মাসুদ আমার কাছে আরও ৩ লাখ টাকা ঘুষ চাই এবং বলে টাকা দুই-একদিনের মধ্যেই দিতে হবে অন্যথায় রায় আপনার বিপক্ষে চলে যাবে। আমি অতিদরিদ্র মানুষ টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। এর কয়েকদিন পর আপিলের রায় হয়। রায় আমার বিপক্ষে হওয়ায় আমি মাসুদের দেয়া ওই আড়াই লাখ টাকা ফেরত চাইলে সে কয়েকদিন সময় চায়। তারপর বহু ঘোরাঘুরির পর তার স্বাক্ষরিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার ৯০৯৯৯১ সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরের ২ লাখ কুড়ি হাজার টাকার একটি চেক দেয়। যার পাতা নং-২২৭৬৮১। চেকটি ক্যাশ করার জন্য আমি বিগত ৪/৩/২০১৮ ইং তারিখে ওই শাখায় উপস্থাপন করি। কিন্তু একাউন্টে ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে এবং পরদিন একটি ডিজঅনার স্লিপ দেয়। আমি বিষয়টি মাসুদকে জানায় এবং টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বলি। মাসুদ আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ফেরত দিতে অস্বীকার করলে আমি বিগত ৮/৫/২০১৮ ইং তারিখে মাসুদের নামে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর ৩০৪/২০১৮নং মামলা দায়ের করি। মামলাটি ২০১৯ সালে দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়ে সেশন ৬৩/২০১৯ নং মামলা হিসেবে নিবন্ধিত হয়। পরে মামলাটি যুগ্ম-দায়রা জজ ২য় আদালতে বদলি হয়ে চার্জ হয় এবং বিচারের দিন ধার্য হয়। বিবাদী মাসুদসহ তার সহযোগী সদস্যরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। মাসুদ কৌশলে নিকটবর্তী তারিখ না দিয়ে লম্বা লম্বা তারিখ দিয়ে বিলম্বিত করে মামলাটি শেষ করতে দিচ্ছে না। আমার দাখিলকৃত দরখাস্তটি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচারের জন্য মাননীয় বিচারকের সুদৃষ্টি কামনা করছি। সেই সাথে সাথে মাসুদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ইউএম/০৪২৩