স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে দেয়ার নামে শুরু হয়েছে প্রতারণা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কৌশলে অর্থ আদায় করছে প্রতারকরা। কয়েকদিন ধরে প্রতারকরা প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে মোবাইলফোনে এমপিওভুক্তির অফার দিয়ে টাকা আদায় করছে। এজন্য প্রতারকরা ব্যবহার করছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের। অনেকেই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে টাকা বিকাশ করছে প্রতারকদের কাছে।
জানা গেছে, রোববার ও সোমবার দুইদিন জনৈক ব্যক্তি নিজেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোজাম্মেল হক পরিচয় দিয়ে ০১৭৭০৮০৬৩০৭ নম্বর থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের কাছে ফোন করেন। কিছু ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে এ জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মোবাইলফোন নম্বর চান তিনি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা বলেন, ‘আমি দুই প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জানিয়েছিলাম তারা যেন প্রতারিত না হন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ ও আল হেলাল নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানকে প্রতারক ফোন দেয়। আল হেলাল নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘প্রতারক আমার কাছে ফোন দিয়ে প্রথমে ই-মেইল ঠিকানা চায়। পরে এমপিওভুক্তির প্রাথমিক কাজ করার জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি সত্যি ভেবে কিছু টাকা দিয়েও ফেলেছি।’ আলমডাঙ্গার ডা. আফছার উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ মাহাবুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘আমার কাছেও প্রতারক মোবাইলফোনে টাকা দাবি করে। এতে আমি প্রথমেই বুঝেছি অতিরিক্ত সচিব পরিচয়দানকারী একজন প্রতারক। কারণ সচিবরা কোনো সময় মোবাইলফোনে টাকা চাইতে পারেন না। তাই নিজে যেমন সতর্ক হয়েছি, অনেক অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে সাবধান করেছি।’ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের অভিযোগের পর ওই মোবাইলফোনে কল দেয়া হয় সোমবার দুপুরে। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে টাকা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন অতিরিক্ত সচিব পরিচয়দানকারী ব্যক্তি। এছাড়া কয়েকটি কথা বলেই কলটি কেটে দেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল বারী মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারেনি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারকরা এমপিওভুক্তির নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। ওই ফাঁদে কেউ যেন পা না দেয়। পাশাপাশি মোবাইল নম্বরটি ট্রাকিং করে প্রতারককে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা দরকার।’