স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের থেকে রক্ষা পেলো ৫ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে কাজীকে কারাদ- ও ছেলের দুলাভাইকে জরিমানার পাশাপাশি বর-কনের অভিভাবকের কাছ থেকে বাল্যবিয়ে না দেয়ার শর্তে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কাজী নাজমুল হক হিরা (৬০) চুয়াডাঙ্গা আরামপাড়ার মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানাগেছে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা এমএ বারী স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী টুনি খাতুনের (১২) সাথে সদর উপজেলার জাফরপুর গ্রামের স্টেডিয়ামপাড়ার লাল্টুর ছেলে মানিকের (১৭) কনের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিলো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে সদর থানার এসআই মেফাউল হাসান সঙ্গীয় ফোর্সসহ কনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় আটক করা হয় কাজী নাজমুল হক হিরাকে। সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নাজমুল হক হিরা কাজীকে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ সালের ৯ ধারায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। একইসাথে বরের দুলাভাই সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের আদালতের ছেলে সাইফুল ইসলামকে ২ হাজার ১শ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম বলেন, কনের বাড়িতে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। পাত্র-পাত্রী উভয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক। উভয়পক্ষের অভিভাবকদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝালে তারা তাদের ভুল বুঝতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সন্তানকে বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা দেন তারা।