ভূমিহীনরা জমি ও গৃহ উপহার হিসেবে পেলেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই
স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেছেন‘ ভূমিহীনরা জমি ও গৃহ উপহার হিসেবে পেলেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার মধ্যে ১৮৪টি গৃহের মধ্যে ৮৪টি হস্তান্তর হলো। যারা সমাজের বিত্তবান তাঁরা যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে আরো কিছু মানুষের উন্নয়ন হতে পারে। যারা ঘর-বাড়ি পেলেন এটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও সংরক্ষণ করবেন। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম ২য় পর্যায়ের সদর উপজেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান হক জোয়র্দ্দার এমপি এসব কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম ২য় পর্যায়ের আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সাজিয়া আফরীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান , সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। সহকারী কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এসময় গৃহহীনদের মাঝে জমির কাগজ-পত্র হস্তান্তর করা হয়।
প্রধান অতিথি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এমপি আরো বলেন, আপনারা যারা জমি ও বাড়ি পেলেন তা আপন মনে করে সংরক্ষণ করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন। একাজ বাস্তবায়নে যারা তদারকি করেছেন তাদেরকে বলবো বাকী ঘরগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে পারেন সেই আশা করবো। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন, এদেশের মানুষ সুফল ভোগ করবেন। ‘৭৫ এর ঘাতকদের বুলেটে তার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি। স্বপ্ন পিছনের দিকে চলে যায়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সেই কাজগুলো করছেন। আজকের প্রধানমন্ত্রী ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর সমাজের অসামঞ্জ্যদূর করে কাজ শুরু করেন। ২০০১ সালের পরের ঘটনা সবকিছু আপনারা জানেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, জেলায় ভূমিহীনদের জন্য ১ হাজার ১৩১টি বাড়ি নির্মাণ করা হবে। ১ম পর্যায়ে ১৩৪টি বাড়ি এবং ২য় পর্যায়ে ১৭৫টি বাড়ি ও ২ শতক করে জমি প্রদান করা হলো। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ পড়েছে। সমাজের সকল মানুষের উন্নয়ন না হলে সার্বিক উন্নয়য়ন সম্ভব নয়। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করে সম্পদে পরিণত করবেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের পর ২০৪১ সালের পর উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও আলুকদিয়া ইউনিয়নে লকডাউন করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের একার পক্ষে লকডাউন পালন করানো সম্ভব নয়। পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটির ওয়ার্ড কমিটিকে কার্যকর করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। সরকারি জমি ও ঘর আপনাদের নিজস্ব সম্পদ। পানি, বিদ্যুৎ ও কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। এগুলো দেখভাল করে টেকসই করতে হবে।