চুয়াডাঙ্গায় বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এলপিজি সিলিন্ডার বাজার থেকে উধাও!

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিলিন্ডার স্থানীয় বাজার থেকে উধাও হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছে বাসা-বাড়ি ও হোটেল রেস্টুরেন্টের গ্রাহকরা। ফলে রান্না-বান্না নিয়ে বিপদে পড়েছে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকারীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় বসুন্ধরা, বেক্সিকো, ওমেরা, যমুনা, লাভস, জেএমআই, টোটাল ও বিএমসহ  বিভিন্ন কোম্পানির এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বাণিজ্যিকভাবে বিপণন হয়ে থাকে। এসব বিভিন্ন কোম্পানির আলাদা আলাদা ডিলার বা এজেন্ট রয়েছে। এ ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন ব্যবসায়ীরা।

অথচ গ্রাহকদের চাহিদা মতো এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দেশে গ্যাস সংকট ও  ডিপো থেকে  সিলিন্ডার সরবরাহ করতে না পারায় গ্রাহকেরা বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া গ্যাসের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ না থাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম। গত ডিসেম্বর মাসে  ডিপোতে ওমেরা সিলিন্ডারের দাম ছিলো ১ হাজার ২৯০ টাকা এবং খুচরা দাম ছিলো ১ হাজার ৩৬০ টাকা। চলতি জানুয়ারি মাসে ডিপোতে দাম হচ্ছে ১ হাজার ৩২০ টাকা এবং খুচরা দাম ১ হাজার ৩৮০ টাকা। একইভাবে বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাস গত ১২ দিন যাবত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে, গ্রাহকরা পড়েছে চরম সংকটে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় বেক্সিকো কোম্পানির কোনো ডিলার নেই। তবে আলমডাঙ্গা শহরে একজন ব্যবসায়ী রয়েছেন বেক্সিকো কোম্পানির ডিলার। বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে ডিলারশিপ নিয়ে এসেছেন তিনি। এছাড়া প্রতিটি কোম্পানির রয়েছে আলাদা আলাদা ডিলার। সেখানেও বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে। অথচ নেই ব্যবসার স্বাধীনতা। তারা কোম্পানির কাছে জিম্মি। এরই ফলে গ্রাহকেরা চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে।

এ ব্যাপরে জানতে চাইলে একজন গ্রাহক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার না পাওয়া দোষ কার। বাজারের সিলিন্ডার সংকটের জন্যকে দায়ী। সরকার নাকি ডিলার।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা ওমেরা কোম্পানির ডিলার তসলিম আরিফ বাবু বলেন, বাজারে ব্র্যান্ডের কোম্পানির পাশাপাশি নামসর্বস্ব কিছু কোম্পানি রয়েছে। এর ফলে এলপিজি সিলিন্ডারের দামের তারতম্যে হয়। গ্রাহকেরা না বুঝে কম দামের সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন।

চুয়াডাঙ্গা বসুন্ধরা কোম্পানির ডিলার হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, গত ১২দিন যাবত বসুন্ধরা কোম্পানির এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছেন।

Comments (0)
Add Comment