চুয়াডাঙ্গায় পৃথকস্থানে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় পৃথকস্থানে এঘটনা ঘটে।
দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের রুদ্রনগর গ্রামে পানিতে ডুবে রায়হান উদ্দিন (১১) নামে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৬ জুন) বিকেলে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে তার মৃত্যু হয়। রায়হান উদ্দিন একই উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে পড়া-লেখা করতো। সে লোকনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রিকাত আলী জানান, শিশু রায়হান উদ্দিন লোকনাথপুর গ্রামে তার নানা রাজা মিয়ার বাড়িতে থেকে পড়া-লেখা করত। ৩ দিন আগে রায়হান তার মায়ের সাথে দেখা করতে যায়। আজ বিকেলে মায়ের সাথে বাড়ির পাশ্ববর্তী রুদ্রনগর গ্রামে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নামে। গোসলের এক পর্যায়ে রায়হান পানিতে ডুবে মারা যায়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝোড়াঘাটা গ্রামের সোনালী খাতুন (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৬ জুন) দুপুরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি খালে এঘটনা ঘটে। শিশু সোনালী খাতুন জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ মিন্টুর মেয়ে। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শিশু সোনালী তার মায়ের সাথে নানা বাড়ি ঝোড়াঘাটায় থাকতো। রোববার দুপুরে কোন সময় বাড়ির পাশে খেলতে খেলতে খালে ঢুবে যায় সোনালী। পরে একই এলাকায় ইদ্রিসের ছেলে মনিরুল খালে গোসল করতে নামলে পায়ে বাধে সোনালীর দেহ। পরে সোনালীর বাড়ির লোকজনকে সংবাদ দিলে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষনা করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিতসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ঝোড়াঘাটায় পানিতে ডুবে সোনালী নামে এক শিশু মারা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তের পর নিশ্চিত হয়েছে। রাত ৮ টার দিকে শিশুটির মরদেহ পরিবারের নিকত হস্তান্তর করা হয়।