স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জেলা নিকাহ রেজিস্টারদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিজ নিজ স্থান থেকে সকলকে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজ করার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার। এসময় সর্বসম্মতিক্রমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন মতামত ও বক্তব্য প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, জেলা নিকাহ রেজিষ্টার সমিতির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব কাজী মো. শামছুল হক, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি কাজী মো. আব্দুল হক আব্বাছী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস, জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ মারুফ হোসেনসহ জেলা নিকাহ রেজিষ্টার সমিতির ৫৬ জন সদস্য।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম কাজী বা নিকাহ রেজিস্টারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সকলেই হেদায়েতের পথের পথপ্রদর্শক, সকলকে পথ দেখান। আপনারা চাইলেই বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব। আপনারা যদি বাল্য বিবাহ না সম্পন্ন না করেন তাহলে জেলায় বাল্যবিবাহ অনেকাংশেই রোধ করা যাবে। আসুন আমরা সকলেই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিজ নিজ স্থান থেকে সোচ্চার হই। পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহার আলোকে এবং দেশের প্রচলিত আইনের ব্যাখ্যা প্রদানসহ উপস্থিত সকলকে বাল্য বিবাহ নিরোধে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সর্বস্মতিক্রমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বয়স প্রমাণের জন্য অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচয়পত্র ও এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট দেখতে হবে। নারী ও শিশু আইন মোতাবেক ১৮ বছরের কম বয়সী সকলেই শিশু হিসেবে গণ্য হবে। ছেলেদের ক্ষেত্রে বিবাহের বয়স কমপক্ষে ২১ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে বিবাহের বয়স ১৮। বাল্য বিবাহ করানোর ক্ষেত্রে যদি কেউ বল প্রয়োগ করে তাহলে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ সুপার বা সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে অবহিত করতে হবে। কাজী সমিতি অঙ্গিকার মুজিববর্ষে কোন বাল্য বিবাহ হবে না। বিবাহ কার্য সম্পন্ন করবেন পবিত্র কোরআন এর আইন অনুসারে। বাল্য বিবাহ রোধে পাড়া/মহল্লায় কাজীদের ছোট ছোট সমাবেশের আয়োজন করতে হবে। মসজিদে খুৎবায় বাল্য বিবাহের কুফল সর্ম্পকে আলোচনা করতে হবে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।