গাংনী প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কেটে গাংনী ঈদগাপড়ার রামিম হাসানের (১৮) মৃত্যু রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের সময় মরদেহের অবস্থান এবং শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন থাকায় পরিবারের কাছে হত্যাকা- নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। নিহত রামিম হাসান গাংনী ঈদগাহপাড়ার সিঙ্গাপুর প্রবাসী জহুরুল ইসলামের ছেলে। জহুরুল ইসলাম গাংনী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঘোড়ামারা ব্রিজের পাশে পাঁচ ফোকট নামক স্থান থেকে রামিমের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। ট্রেনে কেটে আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হত্যাকা-ের বিষয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
জহুরুল ইসলাম প্রবাসে থাকায় তার স্ত্রী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের ভাড়া বাসায় থাকতেন। রামিম চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, রামিম সরলসোজা সাদাসিঁধে ধরনের একজন যুবক। তার সাথে কারো ঝামেলা বিবাদ আছে এমনটি পরিবারের লোকজন মনে করেন না। আত্মহত্যা করতে পারে এমন কোনো কারণ পরিবারের কাছে দৃশ্যমান নয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় মস্তক এবং দেহ যে অবস্থানে ছিল তা সন্দেহজনক।
এদিকে বুধবার রাতে রামিমের মরদেহ তার পিতার বাড়িতে আনা হয়। গোসল করানোর সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান পরিবারের লোকজন। ফলে মৃত্যু নিয়ে নতুন সন্দেহ দেখা দেয়। এই সন্দেহ মাথায় নিয়েই পরিবারের পক্ষ থেকেই মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এর আগে অবশ্য মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ময়নাতদন্ত চুয়াডাঙ্গা থেকেই সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে নিহত রামিমের পিতা জহুরুল ইসলাম সিঙ্গাপুর থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। একমাত্র সন্তানকে শেষবার দেখার পরেই বিকেল তিনটায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সন্তান হারিয়ে তিনি মানসিক বিপর্যস্ত থাকায় এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ছেলের মৃত্যুর জন্য তা মাকেই দুষছেন পরিবারের লোকজন।
এদিকে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এমন সন্দেহে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে পরিবারের লোকজন।