চুয়াডাঙ্গায় জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা

মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কোমর উঠিয়ে না ফেললে কঠোর ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন ‘মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কোমর উঠিয়ে ফেলতে হবে। নদী হলো সবার। প্রয়োজনে জেল দিতে হবে। প্রতিনিয়ত এগুলো মনিটরিং করতে হবে। যানজট নিরসনে মাথাভাঙ্গা ব্রিজ থেকে মেহেরপুর-হাটবোয়ালিয়াগামী বাস ব্রিজের অপরপ্রান্ত দৌলাতদিয়াড় থেকে ছাড়তে হবে এবং বড় বাজার হাসান চত্বরকে যানজটমুক্ত রাখতে হবে। করোনা প্রতিরোধে সিএনজি ও অটোরিকশার যাত্রী শতকরা ৫০ ভাগ কমিয়ে চলাচল করতে পারবে। অবৈধভাবে গাড়ি চালানো যাবে না। কাল (সোমবার) থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।’ গতকাল রোববার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এসব কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন বিগত মাসিক সভার সিদ্ধান্ত পাঠ করে শোনান। সভায় এনএসআই উপ-পরিচালক জামিল সিদ্দিক, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. বেলাল হোসেন, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মইনুদ্দিন মুক্তা, বিআরটি’এর পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম, জেলা কাজী সমিতির সভাপতি শামসুল হক, সাংবাদিক অ্যাড. রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম সনি এবং সহকারী কমিশনার ফিরোজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সভায় ভার্চুয়াল আলোচনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন এবং বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মকর্তারা যুক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করেন ।
সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। বৈধভাবে যারা ভারত থেকে দেশে এসেছে তাদের দিয়ে করোনা ছড়ানোর সুযোগ নেই। ৭/৮শ মানুষ কোয়ারেন্টাইন করিয়েছি। অবৈধভাবে যারা আসে তাদের মাধ্যমে ছড়ালে সেটি কেউ জানে না। বিজিবিকে জানানো হয়েছে। ধরার সাথে সাথে হেলথ স্কিনিং ও কোয়ারেন্টাইন করানো হবে। বিজিবি’র টহল বাড়ানো ছাড়া কোনো রাস্তা নেই। ইউনিয়ন পর্যায়ে তৎপরতা চলছে । করোনা কমাতে হবে। লাল ফ্লাগ ও স্টিকার লাগাতে হবে। আরো জোরদার করতে হবে। ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটিগুলো কার্যকর করতে হবে। পৌরসভা কমিটি সক্রীয় করতে হবে। পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে হবে। লকডাউনের তৎপরতা রেখে বাড়িতে বাড়িতে বন্দী করে রাখতে হবে। বাড়িগুলো সিল করে দিতে হবে। খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছি। জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। এটা করতে পারলে আমরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবো। সীমান্ত এলাকায় চুলের ব্যবসা করছে এবং মাঠে চাষাবাদ করছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মাদক উদ্ধার ও ধর্ষণের মামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। মাদক প্রতিরোধে তৎপর। তাদের শাস্তি হয়। যদি শাস্তি না হয় তাহলে অপরাধ বৃদ্ধি পায়। কেউ যদি একবার ধরা পড়ে তারা যেন পরবর্তীতে আর ধরা না পড়ে। যারা ধরা পড়ছে তাদের অন্য কোনো কাজে লাগানো যায় কিনা? তাদের প্রতি মাসে ২-৫ জনকে কাজে লাগানো যায় কিনা? পুনর্বাসন ছাড়া মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। বাল্যবিয়ে আগের মতো খোলামেলাভাবে করতে পারছে না। মুজিববর্ষে বাল্যবিয়ে হবে না। আমরা ঠেকাতে পারিনি। কিছু কিছু সম্ভব হয়েছে। পাড়া প্রতিবেশীদের সচেতন হতে হবে। ইমাম সাহেবরা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে খুৎবায় যেন বলেন।
বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, সীমান্তে ১৪৪ জন জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত কৃষক ও মানুষদের মধ্যে জনসচেতনা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

Comments (0)
Add Comment