চুয়াডাঙ্গায় চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার না হওয়ায় এসপি অফিসের সামনে অবস্থান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে দিনদুপুরে চুরি হওয়া দুটি মোটরসাইকেল দুই দিনেও উদ্ধার না হওয়ায় পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে মোটরসাইকেল খোয়া যাওয়া দুই ভুক্তভোগীর সঙ্গে তাদের বন্ধু ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জড়ো হন। এ সময় পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কনক কুমার দাস তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ফিরে যান।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত ভুক্তভোগীরা জানান, শুক্রবার বাগানপাড়ার পুরাতন গোরস্থান জামে মসজিদের সামনে থেকে দুজনের দুটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। দুই দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ সময় ভুক্তভোগীরা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও চুরি, ডাকাতি, সহিংসতাসহ অপরাধ দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।
মোটরসাইকেল খোয়ানো ওই যুবক হলেন পৌরসভার বাগানপাড়ার ইকরামুল হক শাকিল ও বড় বাজারপাড়ার এস এম আমিন উদ্দীন। তারা জানান, গত শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে তাদের দুজনের মোটরসাইকেল চুরি হয়।
আমিন উদ্দীনের ভাই ফারহান লায়েস আবেগ অভিযোগ করে বলেন, ‘চুরির পর থানায় গিয়ে দেখি, অভিযোগ নেয়ার জন্য সেখানে কেউ নেই। আমাদের অভিযোগটি লিখতে পুলিশের এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত বা পদক্ষেপ শুরু হয়নি। পুলিশের সেবায় আমরা চরম অসন্তুষ্ট।’
ফারহান লায়েস আবেগ আরও বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত পদক্ষেপের দাবিতে আমরা বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আমরা চাই, চুরিসহ সব ধরনের অপরাধের প্রতিকার দ্রুত নিশ্চিত হোক এবং পুলিশের কার্যক্রম আরও গতিশীল করা হোক।’
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা ও সদর উপজেলা শাখার শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটির জেলা শাখার সদস্যসচিব সাফ্ফাতুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে চুয়াডাঙ্গায় চুরি, ডাকাতি, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- বেড়ে গেছে। কিন্তু পুলিশের কার্যক্রম খুবই ধীর গতির। আমরা চাই, জেলা পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নিক এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক।’
কনক কুমার দাস বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা তাদের মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে জানাতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তাদের বন্ধুরাও সঙ্গে ছিলেন। আমরা তাদের অভিযোগ শুনেছি এবং প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছি। পুলিশের পক্ষ থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের অপরাধ দমনে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল ও নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে।’