স্টাফ রিপোর্টার: ‘করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ও অন্যের সুরক্ষার স্বার্থে বাড়ির বাইরে বের হলে আমাদের সকলকেই মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তাই বলে উদাসীন হলে চলবে না। মাস্কপরার গুরুত্ব কমেনি।’
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী বক্তব্যে উপরোক্ত আহ্বান জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও যোগযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ। করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসপায়ার ইনোভেট প্রোগ্রাম জিওবির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মশালার সভাপতি ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। তিনি জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চুয়াডাঙ্গার কর্মসূচি বাস্তবায়ন, চিকিৎসাসহ যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন। উদ্বোধক সিনিয়র সচিব মাস্ক পরার গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিশে^র বহু দেশের চেয়ে আমরা অনেকটা সামাল দিতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সর্বসাধারণ অনেকটাই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন বলে এটা সম্ভব হয়েছে। এখনও ঝুকি রয়েছে। ফলে আমাদের সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। শতভাগ মাস্ক পরলে সংক্রমণ শূন্যের কুঠায় নেয়া সম্ভব হবে।
আয়োজিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান। তিনি ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলেন, ভ্যাকসিন নিলেও আমাদের মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক শুধু নোভেল করোনা ভাইরাস থেকেই সুরক্ষা দেবে না, অন্যান্য অনেক ক্ষতিকর ধুলিকণা থেকেও রক্ষা করে। আয়োজনের সমাপনী বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়াসির আরাফাত। কর্মশালায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাজিয়া আফরিন, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী কমিশনার হাবিবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা.এএসএম ফাতেহ আকরাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য নাজমুল হক স্বপন প্রমুখ।