নিজে সচেতন হওয়া ও অন্যকে সচেতন করার আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন-এনডিসি বলেছেন, ‘নিজে সচেতন হবো, অন্যকে সচেতন করবো। নো মাস্ক নো সার্ভিস, মাস্ক পড়–ন সেবা নিন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাসিমুখে সেবা দেয়। আমরা মুখ গোমরা করে সেবা দিই। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। মনে রাখতে হবে কোভিড-১৯ শেষ হয়ে যায়নি। যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘করোনা ভাইরাস বিস্তাররোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং নো মাস্ক নো সার্ভিস, মাস্ক পরুন, সেবা নিন’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন এসব কথা বলেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন কর্মশালার আয়োজন করে ও এসপায়ার টু ইনোভেন্ট (এটুআই) কর্মশালার সহযোগিতা করেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম ও সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীন, জীবননগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন আরো বলেন, দরিদ্র মানুষের করোনা হয় না। এসকল কথা ভুল প্রমাণ করে সর্বস্তরের মানুষের করোনা হয়েছে। করোনা মানতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার করুন, অন্যথায় দূরে থাকুন। মাইকিং করছি, করতে হবে। অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের শতকরা ৯০ ভাগ লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। করোনকালে ফাংশন করা বন্ধ হয়ে গেছে। শিশুরা ১৫ মিনিটের বেশি বসে থাকতে পারে না। কোভিড শেষ হয়ে যাচ্ছে। কমেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করেছে। স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, পুলিশ ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যার যার অবস্থান থেকে কাজ করেছেন। কোভিড নিয়ে ২০২১-২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকতে হবে। যে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করেছি, তা নিয়ে চলতে হবে। কোভিডের পর অনেকে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। খুব শিগগিরই স্কুল-কলেজ খুলে দেবে। মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। টিকা দিচ্ছি, এন্টিবডি তৈরী হচ্ছে। নো মাস্ক, নো সার্ভিস, সরকারি দফতরে স্টিকার দিয়ে রাখতে পারি। মাস্ক পরুন, সেবা নিন। কোনো অবস্থাতেই খারাপ আচরণ করা যাবে না। অফিসে মাস্ক রাখতে পারবেন।