চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলো

স্টাফ রিপোর্টার: ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পূর্বে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। জানালা-দরজা খোলা৷ তাও কক্ষের মধ্যে ঘুটঘুটে অন্ধকার। হই! চই! পড়ে গেল। পরীক্ষার্থীরা কেউ ভালোমতো চোখে দেখতে পারছে না। কারণ বৈরি আবহাওয়ার কারণে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। কোনো কোনো পরীক্ষার্থী কক্ষের মধ্যে দিকবিদিক ছুটছে। কেউ কেউ কান্নাকাটিও শুরু করে দিয়েছে। কারণ এখনো বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়নি। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় দুপুর ১টার ১ সেকেন্ডও পার হতে দেয়নি কক্ষপরিদর্শকগণ। ভুক্তভোগী সকল শিক্ষার্থীরা একটু সময় চেয়েছিলো। কিন্তু কোনো সময় দেয়া হয়নি। অভিভাবকদের দাবি জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসএসসি পরীক্ষা। এই পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ওপর অনেকটা নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম। তাই এসএসসি পরীক্ষার এক একটি নাম্বারের গুরুত্ব অনেক বেশি। অন্ধকারাচ্ছন্ন কক্ষে কিছু না দেখতে পারাই কাঙ্খিত নম্বর থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক পরীক্ষার্থী। অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পরবর্তীতে আর কোনো পরীক্ষার্থীর জীবনে যেন এমন ঘটনা না ঘটে। এজন্য বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা (সোলার বা জেনারেটর) করা যায় কি-না সেটি ভেবে দেখা দরকার। এ বিষয়ে ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা খাতুন বলেন, আধা ঘণ্টা নয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে কক্ষ পরিদর্শকগণ জানালা-দরজা খুলে দিয়েছিল। কিছুটা আলোর স্বল্পতা হলেও, একেবারে যে দেখতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা তা নয়। নির্ধারিত সময়ের পরে পরীক্ষার জন্য বাড়তি সময় দেয়ার বিষয়টি আইনসিদ্ধ নয়। তাছাড়া হঠাৎ বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ায় আমি পরীক্ষার হলে করিডোরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কোন পরীক্ষার্থী আমার কাছে কোন আবেদন করেনি যে, তাদেরকে পরীক্ষার জন্য বাড়তি সময় দিতে হবে। উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ২ কক্ষ নম্বর ১১১ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় গুরুতর ঘটনা ঘটে। ওই কক্ষে ৪২জন বালিকা পরীক্ষার্থী ছিল। যার অধিকাংশ পরীক্ষার্থী ছিল চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের।