চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক

প্রতিটি কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের জন্য প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলতি বছরের ১২ হাজার ৩১১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ১৯টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৫৫৭ জন, ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৬৩৮ জন এবং দাখিল পরীক্ষায় ৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আক্তার, ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল আরা চৌধুরী, ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মীর জান্নাত আলী, জীবননগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ইমরুল কাদির, কার্পাসডাঙ্গা ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার শারমিন সেলিনা আতাহার, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলী, ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ, আলমডাঙ্গা সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, মেমনগর বিপ্রদাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একরামুল হক, জীবননগর থানা ফাযিল মাদরাসা অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক, হাসাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, জীবননগর থানা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাদব কুমার প্রামাণিক, জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানাসহ সকল পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবগণ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকতে হবে। সমস্যা থাকলে দেখবেন, অথবা কিনবেন। কেন্দ্রের ত্রুটি দেখা দিলে কেন্দ্র সচিবের ওপর বর্তাবে। শিক্ষার্থীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক থাকলে ঝড়ে পড়া রোধ করা যাবে। এমনভাবে সার্ভিস দেবেন যাতে মানুষ স্মরণ রাখে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষা সবচেয়ে ব্যাপক হয়। আমরা সবাই সতর্ক থাকবো। আমি অনুরোধ করবো আমাদের এখানে যেন বিন্দুমাত্র শৈথিল্য দেখানো যাবে না। কেন্দ্র সচিবের একার পক্ষে কাজ করা সম্ভব না। সুন্দরভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারি সেদিকে সচেষ্ট থাকতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরীক্ষার হলে পর্যাপ্ত আলো এবং ওয়াশরুমগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।