স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও তিনজনের নতুন পজেটিভ এসেছে। তাদেরকে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। অপরদিকে মেহেরপুরে ঢাকা থেকে আসা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির শ^শুর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে এলাকার আশপাশের বাড়িগুলোতে সতর্ক কওে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মেহেরপুরে আরও একজন করোনা শনাক্ত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এক আনসার সদস্যসহ তিনজন। আক্রান্ত তিনজন পুরুষ সদর উপজেলার। হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে এ রিপোর্ট চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে আসে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এ পর্যন্ত ১৩৭ জন।
সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে ১৫টি নতুন রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ৩ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ আনসার ব্যাটেলিয়ান ক্যাম্পের একজন, আলুকদিয়া গ্রামের ও দৌলতদিয়াড়ের একজন। তিনজন বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৪ উপজেলা থেকে নতুন ৮৬টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর, জীবননগর, দামুড়হুদা আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলায় শিশু, নারী-পুরুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮৫ জন। হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ৫২ জন রোগী।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। সবাইকে নিরাপদ থাকার জন্য বলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলার বিভিন্ন স্থানে ৩২ জনকে ৪২ হাজার ২শ’ টাকা জরিমানা করেছেন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর শহরে ঢাকা থেকে আসা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির শ^শুর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে এলাকার আশপাশের বাড়িগুলোতে সতর্ক কওে দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই বাড়িতে লাল কাপড় টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি শাহাজুল ইসলাম (৪০) মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামের ঝাবু বিশ্বাসের ছেলে এবং মেহেরপুর পৌরসভার স্টেডিয়ামপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর জিল্লুর রহমানের জামাতা। শাহাজুল ইসলাম চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। ঢাকাতে অবস্থানকালে তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তা পরীক্ষা করার পর তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এমতাবস্থায় তিনিসহ তার ভাই মফিজুল ইসলাম, স্ত্রী জেবা খাতুন এবং ২ মেয়ে সায়মা ও জায়মাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা থেকে মেহেরপুরের স্টেডিয়ামপাড়ায় তার শশুর জিল্লুর রহমানের বাড়িতে অবস্থান করেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করতে থাকে। পরে তারা প্রশাসন ও পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ওই বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়।
এদিকে নতুন করে মেহেরপুর আরও একজনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ তখ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন। আক্রান্ত ব্যক্তি হলেও মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ার সেনা সদস্য শরিফুল ইসলাম। মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, মেহেরপুর জেলা থেকে মোট ২৪ জনের নমুনা সংগহ করে কুষ্টিয়া ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে একজন করোনায় আক্রান্ত রিপোর্ট আসে; বাকি ৪১ জনেরই দেহে কোন ভাইরাস নেই বলে প্রতিয়াম হয়েছে।