স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আগামী ২০ মে থেকে শুরু হচ্ছে আম সংগ্রহ অভিযান। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আম ব্যবসায়ীদের সাথে জেলা প্রশাসনের এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী চলতি মরসুমে জেলায় ১ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে আম বাগানের চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ১৫ মে.টন করে আম উৎপাদন হয়ে থাকে। সে হিসেবে জেলায় এবার ২৯ হাজার ৬২৫ মে.টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আলী হাসান, অতিরিক্ত উপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবায়ের মাসরুর, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম, আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুন্সি রেজাউল করিম খোকন ,সহসভাপতি কুদ্দুস মহলদার, আম ব্যবসায়ী শামসুল আলম ও রুমজান আলীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, আগামী ২০ মে থেকে আটি, গুটি, গোপালভোগ আম, ২৮ মে থেকে বোম্বাই ও হিমসাগর আম, ৫ জুন থেকে ল্যাংড়া আম, ১৫ জুন থেকে আ¤্রপালি (বারি-৩), ২০ জুন থেকে ফজলী আম এবং ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা/বারি-৪ আম গাছ থেকে ভাঙতে পারবে।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, নিয়ম মেনে মৌসুমী ফল পারতে হবে। মৌসুমী ফল একটু হলেও খেতে হবে। কাঁচা ফল কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে দিই তাহলে হবে না। সরকারি উদ্যোগের কারণে ইলিশ মাছের উৎপাদন বেড়েছে এবং পাওয়া যাচ্ছে। ভারতে ইলিশ মাছ রফতানিও করতে পারছি। নিয়ম মেনে ফল পাড়ি তাহলে শরীরে এন্টিবডি তৈরি হবে। চুয়াডাঙ্গায় আম ভালো হয়। পরিপক্ক অবস্থায় পারলে পরিপূর্ণতা পাবে। অপরিপক্ক পারলে পুষ্টি পাবে না। রাসায়নিক উপায়ে আম পাকাবেন না। প্রাকৃতিক উপায়ে পাকুক। আপনারা লাভবান হোন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে চলবেন। বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করবেন। প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে। আম পাড়ার সময় হ্যান্ড গ্লোভস ও মাস্ক পরবেন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। এছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশে মজুদ করা হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯ এবং নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলী হাসান বলেন, জেলা ব্যাপী আম সংগ্রহের যে সূচিটি দেয়া হয়েছে তার বাইরে কেউ অপরিপক্ব আম পাড়তে পারবে না। অনিয়ম হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।