স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন‘ কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। যাদের জমি নাই তাদের ২ শতক করে জমি দিয়ে ঘর করে দেয়া হবে। যাদের জমি আছে ঘর নেই তাদেরও ঘর করে দেয়া হবে। ভাসমান কোন মানুষ থাকবেনা।’ গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেছেন।
‘দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’ এ শ্লোগানে চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০ উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু তারেক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাহিদুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় স¦াগত বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্যোগ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা খায়রুল আনাম। অন্যান্যের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম, রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম শাহান ও ব্র্যাক কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরো বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। দুর্যোগে প্রাণহানী ঘটতো। এখন প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারি। এখন প্রাণহানী হয়না। দুর্যোগ মোকাবেলায় উন্নত বিশ্ব হিমশিম খায়। ভৌগলিক কারণে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছি। এখন কিন্ত প্রস্তৃুতি আছে। এখন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারি। সভায় প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ প্রশমন দিবসের ভার্চুয়াল সংযুক্ত হয়ে জেলার ১৯৬ টি পরিবারের মধ্যে দুর্যোগ সহনীয় ঘর বরাদ্দের উদ্বোধন করেন। সরকার ঘোষনা করেছেন সচিবরা প্রত্যেককে নিজ এলাকায় দুটি করে বাড়ি তৈরী করে দেবেন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব আছিয়া বেগম নিজ এলাকা দামুড়হুদায় দুটি বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি আগামী ১ বছরের মধ্যে ঘর ছাড়া কেউ থাকবেনা। জেলা পর্যায়ে কোয়ার্টার নির্মাণ করে গৃহহীনদের ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। যার জমিও নাই, ঘর নাই এমন ১১০০ পরিবারকে ২ শতক করে জমি দিয়ে ঘর নির্মান করে দেয়া হবে। যাদের জমি আছে ঘর নাই, এমন ৯ হাজার ৬৫৪ জন পরিবারকে ঘর তৈরী করে দেয়া হবে। কাউকে পিছনে ফেলে এগুনো যাবে না। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য সকল বিষয়ে মানুষকে জানাতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ২০০ পরিবার এবং এবার ১৯৬ পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরী করে দেয়া হয়েছে।