চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসুলেশন ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের নির্দেশনা না মেনেই সিনিয়র স্টাফ নার্সদের ডিউটি দেয়া হয়েছে। আর এটা নার্সিং সুপারভাইজার ও সিভিল সার্জন যোগসাজশে করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সিনিয়র স্টাফ নার্সদের ভিতর দানা বেধেছে ক্ষভ।
জানাগেছে চুয়াডাঙ্গা করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে আইসুলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের নির্দেশনানুযায়ী এই ওয়ার্ডে দায়িত্ব দেয়ার কথা বয়সে তরুণ চিকিৎসক, সিনিয়র নার্স ও ওয়ার্ড বয়। একই সাথে তাদের কেউ জটিল রোগে আক্রান্ত হলে চিকৎসা দিতে পারবে না, বা আইসুলেশন ওয়ার্ডে ডিউটি করতে পারবে না। নার্সদের ক্ষেত্রে যারা ২০০৮ সালের পরে নার্সিং পাশ করেছে তারা ডিউটি করতে পারবে। তবে তারা শারীরিকভাবে ফিট হতে হবে।
এদিকে প্রতিদিন একজন কনসালটেন্ট রাউন্ড দিয়ে চলে যাবে, আর এক জন চিকিৎসক ও ২ জন সিনিয়র নার্স সব সময় থাকবে। এই নার্সদের থাকা খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে আবাসিক হোটেল। কিন্তু চুয়াডাঙ্গাতে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে সিনিয়র নার্সদের আইসুলেশন ওয়ার্ডে ডিউটি দেয়া হয়েছে। যাদের ডিউটি দেয়া হয়েছে তাদের অধিকংশই বয়স্ক ও জটিল রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও বয়সে তরুণ তদেরকে অবগতই করা হয়নি আইসুলেশন ওয়ার্ডে ডিউটি করার বিষয়ে। অথচ বয়সে তরুন নাম সিনিয়র স্টাফ নার্সই ডিউটি করতে ইচ্ছুক। কিন্তু সেখানে নার্সিং সুপারভাইজারের বয়স বেশী হওয়ার পরও তিনি নিজেও ডিউটি নিয়েছে। আর নার্সিং সুপারভাইজার ও সিভিল সার্জন যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সদের ভিতর ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে চাকরির ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য দিয়ে তারা প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার ফেরদৌস আরা রোকেয়া ও ডাঃ শামীম কবীর অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন কোন নার্স ডিউটি করতে রাজি হচ্ছিলো না, তাই এটা করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম মারুফ জানান, আমি স্থনীয় ম্যানেজার আমি যেটা ভালো বুজবো সেটাি করব। এছাড়াও কোন কোন নার্স আইসুলেশন ওয়ার্ডে ডিউটি করছে, লিস্ট চাইলে, তিনি বলেন এটা দেয়া যাবে না, আর দেয়ার কোন নির্দেশনা আছে কি আমার জানা নেই।