চুয়াডাঙ্গার হরিশপুরে ঘরনির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে ইউএনও

ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে এসব ঘর

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামে সরকারি খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহনির্মান। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চলমান এসব গৃহনির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম.সাইফুল্লাহ। এসময় তিনি বলেন, ভূমিহীন গৃহহীন মানুষেরা সব সময় থাকে অবহেলিত। তাদের সামর্থ থাকে না জমি কিনে বাড়ি করার। তার উপর পাকা ঘর। সেটা তো স্বপ্ন ছাড়া কিছুই না। সরকারি অর্থায়নে এসব গৃহনির্মান হচ্ছে গরীব দুঃখী নিরন্ন মানুষের মুখে হাসি ফোটানো জন্য। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষে বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন করতেই আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় এসব কাজ হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এরই অংশ হিসাবে চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটায় ৯৪টি, হরিশপুরে ২৬টি এবং এই ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়ায় ৪০টি পরিবারের জন্য বারান্দাসহ ২ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা দেয়াল এবং উপরে দোচালা টিনের চাল দিয়ে গৃহনির্মাণ করা হচ্ছে। সেই সাথে একটি করে টয়লেট। পর্যায়ক্রমে সব ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষেরা এ প্রকল্পের আওতায় আসবে বলে আমি মনে করি। ঘরের পাশাপাশি থাকবে সুপেয় পানি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত ব্যবস্থা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অসহায় ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারগুলোর স্বপ্ন পূরণ হবে। মুখে ফুটবে অপ্রত্যাশিত হাসি। আপনাদের নিকট আমার আহবান ঘর নির্মানের জন্য ব্যবহৃত নির্মান সামগ্রী গুলো একটু দেখে নেবন। আমি চাই সরকারের টাকার যথার্ত ব্যবহার হোক। কোন অসঙ্গতি মনে হলে আমাকে জানাবেন। তবে সেটা যেন যৌক্তিক এবং সঠিক তথ্য হয়।
অপরদিকে ঘর নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মালামাল দেখে সকলেই সন্তষ্টি প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের সিএ শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এবং ঘরবরাদ্ধ পাওয়া সুবিধাভোগীরা।