ভালাইপুর প্রতিনিধি: মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর পানের হাটের কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। হাট মালিকরা পূর্ব ঘোষণা দিয়ে পান ব্যবসায়ীদের হাটে যাওয়ার জন্য বললে তারা হাটে যায়। গতকাল শনিবার সকাল থেকে হাট মালিকরা খবর জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে পান হাট বসেছে ভালাইপুর মোড়ে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন সেখানে অভিযান চালায়। প্রশাসনের যাওয়ার খবর পেয়ে হাট ইজারাদাররা সটকে পড়েন। এ সময় সেখানে থাকা পানের বেপারী ও ক্রেতাদের জরিমানা আদায় ও সতর্ক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালকত সুত্রে জানা গেছে, চলমান কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর মোড়ে শনিবার সকাল থেকে পানের হাট বসেছে এমন সংবাদের ভিত্ততে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান, জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সবুজ কুমার সবাক ও সহিদুল আলম. সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমাণ অভিযানের খবর পেয়ে হাট মালিকরা সেখান থেকে সটকে পড়ে। পরে হাটে যাওয়া পানের বেপারীদের ও ক্রেতাদের জরিমানা করা হয়, সেই সাথে তাদেরকে শতর্ক করা হয়এ সময় হাটে আগত পনের বেপারী ও ক্রেতারা অভিযোগ করেন, পানের হাটের ইজারাদারা আমাদের ডেকে এনে হাট বসিয়েছে। আমরা অপরাধী হলে ইজারাদারেরাও তো অপরাধী। এদিকে এলাকার সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, চুয়াডাঙ্গাসহ সাদাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমন মহামারি আকার ধারন করায়, জেলা প্রশাসন কর্তৃক সব ধরনের গনসংযোগ বা জনসমাগম বন্ধ থাকার কথা থাকলেও এলাকার পানহাট বা সবজি বাজার গুলোই মানা হচ্ছেনা কোন ধরনের লকডাউন। যার ফলে এসব বাজারগুলোতে দেশের বিভিন্ন জেলার ক্রেতা বিক্রেতাদের সমাগম ঘটছে এসব হাটে। প্রশাসন জরুরি পদক্ষেপ না নিলে করোনা ভাইরাস আরো মহামারি আকার ধারন করবে বলে মন্তব্য করেন। ভালাইপুর পান হাটের ইজারাদার দেলোয়ার হোসেন দিপু বলেন সরকারের কাছ থেকে ভালাইপুর মোড়ের শুধুমাত্র পানহাটটিই গত বছর ২৯ লক্ষ টাকায় ইজারা নিই। করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউন থাকায় আমরা লক্ষলক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখি হই। এবারো ২৯ লক্ষ টাকায় ইজারা নেয়া হয়েছে। আমরা করোনা ভাইরাস সংক্রমনের পর থেকেই সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে হাট বসায়। যেহেতু করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারন করায় সরকার কর্তৃক এক সপ্তাহ কঠোর লকডাইন দেয়া হয়েছে। আমরা শনিবাররের পান হাট বন্ধ রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু সাপ্তাহিক হাট ভেবে পান ক্রেতা বিত্রেতারা উপস্থিত হয়ে বেচাকেনা শুরু করে। আমি আমার ব্যক্তিগত বাঁধণ এগ্রো বেজফার্মে অবস্থান করায় এদিকে কি ঘটেছে আমি জানিনা। তবে হাট ইজারার নিতিমালা অনুযায়ী সরকারে কাছে আবেদন করবো তদন্ত পূর্বক করোনা ভাইরাসের কারনে, লকডাউনে বছরের ৫২ সপ্তাহে যে কয় সপ্তাহ হাট বন্ধ থাকবে তার ক্ষতি পুশিয়ে দেওয়ার জন্য।