ডিঙ্গেদহ/সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: দেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী। নারীদের পেছনে রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারী-পুরুষের সমানে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারীদের ৬০ ভাগ কোটা দিচ্ছে। যে পরিবারে নারীরা আয়বর্ধক কাজ করে সেই পরিবারে নারীদের মর্যাদা বাড়ে, নির্যাতন হয় না। এদিক বিবেচনা করে বর্তমান সরকার নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই দিচ্ছে। সরকারের দেয়া সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। মেয়েদের বোঝা মনে না করে লেখাপড়া শিখিয়ে মানব সম্পদে পরিণত করতে হবে। বাল্যবিয়ে দেশে একদিকে যেমন নারী শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে তেমনি মাও শিশু মৃত্যু, তালাক, বহুবিবাহ ও নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। এজন্য যে কোন মূল্যে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বাল্যবিয়ে শূন্যের কোঠায় আনতে হবে। আর এ কাজ শুধুমাত্র প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব নয়। কোথাও বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকে খবর দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার সময় চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে জেলা তথ্য অফিস কর্তৃক আয়োজিত শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (৫ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এ কথাগুলো বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন আমাদের পরিবারের হাস-মুরগি হারালে সন্ধ্যায় খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ আমাদের সন্তানেরা সন্ধ্যায় কোথায় যায় এবং কোচিংয়ের নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কি করে সেদিকে আমরা কোনো খেয়াল করি না। আস্তে আস্তে তারা মাদকের মতো মরণ নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। মাদক শুধু একটি জীবনকেই ধ্বংস করে না পর্যায় ক্রমে পরিবার, সমাজ তথা দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। এ সময় তিনি জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন সকল ভাতাভোগীদের তালিকা সরকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে করে থাকে। ভাতাভোগীদের তালিকা যেন নীতিমালা মেনে করা হয়, কোথাও অনিয়ম হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন বঙ্গবঙ্গু বলেছিলেন যারা সরকারি চাকরি করে তাদের বেতন ভাতা জনগণের টাকায়। জনগণকে সঠিকভাবে সেবা করতে হবে। কোনোভাবেই যেন জনগণ তাদের সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাহিদুল আলম, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার সাজিদ হাসান, পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আলম ম-ল। পবিত্র কোরআান তেলওয়াত করেন ডিঙ্গেদহ দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আলি নুর বিশ^াস। মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পদ্মবিলা ইউপি সচিব শাজাহান সেলিম, প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল হক, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, জিয়াউর রহমান জিয়া।