স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার নেহালপুর মাঠে অবৈধভাবে পুকুর খননের নামে মাটি বিক্রির ডেরায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাই আদালত। অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে অভিযুক্তদের আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে। অনাদায়ে ৩ মাসের জেলের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। টাকা পরিশোধ করে মুক্ত হয়েছেন অভিযুক্তরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল্লাহ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার নেহালপুর ইউনিয়নের পান্তাপাড়া মাঠে পুকুর কাটার অযুহাতে দীর্ঘদিন থেকে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন দীননাথাপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ ওরফে লেদু মিয়ার ছেলে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর গণির সহযোগিতায় নেহালপুর গ্রামের মকবুল হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে দর্শনা থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম যুদ্ধ। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্তে অবৈধভাবে মাটি কাটার ডেরায় অভিযান চালান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এম.সাইফুল্লাহ। মাটি কাটার কাজে ব্যাবহৃত ট্রাক্টর এবং ভেকু আটক করেন নির্বাহী অফিসার। এসময় মাটি কাটার বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান সেখানে উপস্থিত থাকা নুর গণি ও খাইরুল ইসলাম যুদ্ধের নিকট। তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে সদর উপজেলা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারা মোতাবেক আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে ৩ মাসের জেলের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। আদালতের নিকট জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্ত হন মাটিকাটার সাথে জড়িতরা।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম ভাঙিয়ে ওই মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন তারা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এম সাইফুল্লাহ বলেন, মাটি কাটা আইনত অপরাধ। সেটা নিজের জমি হোক আর অন্যের জমি হোক। কোন অযুহাত দেখিয়েই মাটি কাটা যাবে না। যদি কেউ এ কাজটি করে থাকেন তারা সতর্ক হয়ে যান। অভিযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সহযোগিতায় ছিলেন হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের একটি চৌকস টিম ও আদালত সহকারী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাজির এস এম রাসেল।
এ ব্যাপারে দর্শনা থানা বিএনপি’র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম যুদ্ধ বলেন, শত্রুতামূলকভাবে দলীয় লোকেরা এ কাজটি করিয়েছে।