বেগমপুর প্রতিনিধি: বাংলদেশে যেকোনো নির্বাচন মানেই বাড়তি আনন্দ। নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারদের যেমন থাকে আগ্রহ তেমনি চায়ের দোকানগুলো থাকে সরব। সেই সাথে দলীয় কোন ভোট হলে রাজনৈতিক অঙ্গন হয়ে ওঠে উত্তাপ। ছোট রাজনৈতিক দলে প্রার্থীর সংখ্যা না থাকলেও বড় দলে থাকে একাধিক প্রার্থী। নিজের অবস্থান জানান দিতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত প্রার্থীরা নিজের পাল্লা ভারী রাখতে চালান সর্বাতœক প্রচেষ্টা। তেমনি জোরালো বাতাস লেগেছে চুয়াডাঙ্গার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি নির্বাচনে। প্রার্থীদের পাশাপাশি সমর্থকেরাও নিজের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে তুলে ধরছেন নানা যুক্তি। অপরদিকে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলে দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে তেমন আগ্রহ না থাকলেও ক্ষমতাসীন আ.লীগের নৌকা প্রতীক পেতে চলছে ত্রি-মুখি তদবির। দলীয় ভোটারদের মন্তব্য প্রার্থী নির্বাচনে নীতি নির্ধারণীরা কোনো রকম ভুল সিদ্ধান্ত নিলে স্থানীয় নেতাকর্মী কিংবা সমর্থকেরা এর দায়ভার গ্রহণ করবে না। কারণ ভোটটি হবে গোপন ব্যালটে। অপরদিকে অতীতের কিছু কিছু ভোট গ্রহণের চিত্র দেখে সাধারণ ভোটাররা রয়েছে শঙ্কায়।
জানা গেছে, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ব্যাপক সীমানা এবং জনসংখ্যার দিকবিবেচানা করে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে গঠিত হয় নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ। পরিষদ বিভক্তের পরপরই দেখা দেয় আইনি জটিলতা। আইনি জটিলতা দুর করতে আদালতের আশ্রয় নেয় ইউনিয়নবাসী। সকল আইনি জটিলতা দুর হলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরপরই গড়াইটুপি ইউনিয়নের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন উত্তাপ ছাড়াই তেমনি চায়ের দোকানগুলো হয়ে ওঠে সরগম। যদিও এখনও কোনো দলেরও চূড়ান্ত হয়নি প্রার্থীতা।
ইউনিয়ন ঘুরে জানা গেছে, ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যেসব গ্রাম থেকে প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে সেসব গ্রামের মধ্যে আছে খেজুরতলায় একজন, খাড়াগোদায় একজন, গোষ্টবিহারে একজন, গড়াইটুপিতে দুজন, তেঘরিতে একজন, সড়াবাড়িয়ায় একজন ও খাসপাড়ায় একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। সেই সাথে অন্য দলের দলীয় প্রতিক নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে তেমন একটা আগ্রহ না থাকলেও ক্ষমতাসীন আ.লীগের দলীয় প্রতিক নৌকা পেতে ত্রি-মুখি তদবির চলছে। তবে আ.লীগের দলীয় প্রতিক যার ভাগ্যেই জুটুক না কেন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে বলে এমনিই আভাস দিয়েছে দলীয় নেতাকর্মীরা। তবে দিনক্ষণ এগিয়ে আসলে পরিষ্কার হতে থাকবে কোন দল থেকে কে হচ্ছে প্রার্থী আর কারা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। এদিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রির্টানিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। ভোট স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হবে। প্রার্থীদের দায়িত্ব ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা। ভোট নেয়া হবে ইভিএম-এর মাধ্যমে। উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ২৯১ জন এবং নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৫৪ জন।