গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপিতে পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় সালিসে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে অভিযুক্ত শিপন হোসেনকে। গত পরশুদিন গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদে এ সালিসের আয়োজন করা হয়। এ সময় শিপন হোসেনকে ৫ জন মিলে শারিরীক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিপনের চাচাতো ভাই আব্দুল আজিজ। গড়াইটুপি গ্রামে পরকীয়া প্রেমের সূত্রধরে প্রেমিক শিপনের বাড়িতে মঙ্গলবার রাতভর প্রেমিকা ময়না খাতুন বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। ঘটনার রাতে তাকে মারধর করার অভিযোগ করেন ওই নারী। পরের দিন ইউনিয়ন পরিষদে সালিসের আয়োজন করা হয়।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি গ্রামের তেতুলতলাপাড়ার দিদার আলীর ছেলে ২ সন্তানের জনক গরুব্যবসায়ী শিপন হোসেন পার্শ্ববর্তী তেঘরী মাদরাসাপাড়ার বিল্লালের স্ত্রী এক সন্তানের জননী ময়না খাতুনের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক করেন। ময়না খাতুনের পিতার বাড়ি ছিলো গড়াইটুপি মেলার মোড়ে। প্রেমজ সম্পর্কের সূত্রধরে শিপন হোসেন তাকে একটি মোবাইল কিনে দেন। গত মঙ্গলবার মোবাইলের ব্যাপারে তার স্বামী জানতে পেরে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন বিল্লাল। পরে ওইদিন রাতেই তার প্রেমিক শিপনের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। রাতভর বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিলে বুধবার সকালে লোকজন জড়ো হতে থাকে। পরে স্থানীয় প্রশাসন সেখানে উপস্থিত হলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শিপন হোসেন। সকাল ১১ টার দিকে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদে উভয়পক্ষ সালিসে বসার জন্য সম্মত হলে সব কথা শুনে সালিসে শিপনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তাকে শারিরীক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। পরে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার একপর্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার তার অবস্থা খারাপ হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের জন্য তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত শিপনের চাচাতো ভাই আব্দুল আজিজ অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান রাজু, খোকন, চান মেম্বার, রোকন এবং ক্যাম্পের পুলিশ তাকে শারিরীক নির্যাতন করেন। তারপর শিপনের পকেট থেকে ৮ হাজার নগদ টাকা বের করে নেন তারা। এতো মারপিটের পরও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা টাকা মওকুফ না করলে আমরা মামলার পথে যাবো।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া প্রেম করে আসছে। এর আগেও একসাথে চলে গিয়েছিলো। দুজনেরই সন্তান আছে। এতে দোষ উভয়ের সমান। কিন্তু শিপনের ওপর একতরফা শারিরীক ও আর্থিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।