স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী এলাকায় বজ্রপাতে ছমির কাজী (৬০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। শানিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছমির কাজী হারদী থানাপাড়ার মৃত মহৎ কাজীর ছেলে।
হারদী ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম জানান, আজ বিকালে ছমির কাজী বাড়ির পাশের মাঠে নিজের পালিত গরু রাখতে যায়। এসময় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হন। মুমুর্ষ অবস্থায় আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.জাহিদ তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজশাহীতে ঝড়-বৃষ্টির সময় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকালে ঝড়-বৃষ্টির সময় আম কুড়াতে গিয়ে এবং মাঠ থেকে ধান নিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাত হলে তারা মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত হলেন জেলার দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের এছার আলীর ছেলে বাবু ইসলাম (২৩), একই গ্রামের সাইদুল চৌকিদারের ছেলে রনি ইসলাম (৩৩), বাগমারা উপজেলার হাজড়াপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন (৫৫) ও বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের চকরপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম বাবু (৩২)। বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, দুর্গাপুরের বাবু ও রনিসহ চারজন বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার সুলতানপুর তালতালি নদীর পাড়ের একটি গাছে আম পাড়ছিলেন। বিকাল ৪টার দিকে বজ্রপাতে তারা আহত হন। স্থানীয়রা তাদের তাহেরপুর একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বাবু ও রনিকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি মোস্তাক। তাছাড়া উপজেলার হাজড়াপুকুর গ্রামের ঝড়-বৃষ্টির সময় মাঠ থেকে ধান নিয়ে ফেরার সময় বজ্রপাতে নিজাম মারা যান, জানিয়েছেন ওসি মোস্তাক। বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, বিকাল পৌনে ৩টার দিকে বাড়ির পাশে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম বাবু গুরুতর আহত হন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।