গাংনী প্রতিনিধি: গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের প্রকৃত ধরণ অনুযায়ী কাজ করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ অনিয়ম করছে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছে কাজের কোনো ত্রুটি নেই। যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটি সমাধান করে দেয়া হবে। জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নীচ তলায় দেয়ালে টাইল্স স্থাপন ও দেয়ালে রং করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ১০ লাখ ৪১ হাজার ৫১৫ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ঝিনাইদহ কাঞ্চন নগরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিশীত বসু। কয়েকদিন আগে কাজটি শুরু হয়। নিয়মানুযায়ী টাইল্স স্থাপনের সময় দেয়ালে সিমেন্ট গোলা বা গ্রাউটিং দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে সরাসরি সিমেন্ট দেয়ায় কয়েক স্থানে টাইল্স উঠে গেছে। আবার টাইল্সের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা কয়েকটি টাইলস তোলার পর গ্রাউটিংয়ের অনিয়মের বিষয়টি নিশ্চিত হলে কাজ বন্ধ করে দেয়। জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলার সব কাজের তদারিক করে চুয়াডাঙ্গা কার্যালয় থেকে। তবে চলমান এই সংস্কার কাজ দেখেতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি গাংনী হাসপাতালে আসেন না। তাদের অনুপস্থিতিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত মিস্ত্রিরা কাজ করে যাচ্ছেন। যা দেখে স্থানীয় অনেকে বলেছেন-এই কাজের কোনো বাপ মা নেই। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছেমাফিক নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করেই তারা এ অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কামরুজ্জামান ডাকু জানান, প্রথম থেকেই কাজের ধরন ভালোনা। নিয়মানুযায়ী কাজ না করে জোড়া তালি দিয়ে কাজ করছে। কয়েক স্থানে টাইল্স উঠে গেছে। দেখা গেছে গ্রাউটিং করা হয়নি। তাছাড়া সিমেন্ট ও বালুর মিশ্রণ ঠিক নেই। অন্যদিকে টাইল্স স্থাপনের পর কিউরিং করা হচ্ছে না। ফলে টাইল্স স্থাপন টেকসই হবে না। আমরা চায় জনস্বার্থে এই প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কাজ ভাল করা হোক। জানতে চাইলে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিশীত বসুর প্রতিনিধি রুবেল আহমেদ জানান, স্থানীয়রা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির একই সুরে কথা বলেছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর চুয়াডাঙাঙ্গার উপসহকারী প্রকৌশলী ইউসুফ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কয়েকটি জায়গাতে কাজ চলমান তাই গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাজটি পরিদর্শন করা সময়মত হয়নি। দুয়েক দিনের মধ্যে পরিদর্শন করে অনিয়ম দূর করা হবে।