গাংনী প্রতিনিধি: লোক চক্ষুর অন্তরালে গাঁজা চাষ করেও শেষ রক্ষা হয়নি মেহেরপুর গাংনীর মটমুড়া গ্রামের মাদকব্যবসায়ী দুলাল হোসেনের। গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে ১৫ কাঠা জমিতে আবাদকৃত দেড় শতাধিক গাঁজা গাছ জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুলাল হোসেনের স্ত্রী শেফালি খাতুনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। গত বুধবার রাতে গাংনী থানা পুলিশের অভিযানের আগেই আত্মগোপন করে মাদকব্যবসায়ী দুলাল।
গাংনী থানাসূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার রাতে পুরাতন মটমুড়া গ্রামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুলাল হোসেনের বাড়িতে গাঁজা চাষের সন্ধান পায়। রাতে সেখানে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় আবারও অভিযান।
স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, দুলাল হোসেন তার বাড়ির সাথে ১৫ কাঠা জমি ঘিরে গাঁজা চাষ করে। একপাশে বাড়ি ও অন্যপাশে বাঁশ বাগান থাকায় জায়গাটি ছিলো আশেপাশের মানুষের দৃষ্টির বাইরে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেখানে গাঁজার আবাদ করে। পুলিশের অভিযানে দেড় শতাধিক গাঁজা গাছ জব্দ করা হয়। আর কিছুদিনের মধ্যেই গাঁজা গাছ বিক্রি উপযোগী হতো বলে জানান স্থানীয়রা।
গতকাল সকালে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান ও গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছান। পুলিশের একাধিক টিম গাঁজা গাছ শেকড়সহ কেটে তা জব্দ করে। এ বিষয়ে গাংনী থানায় দুলাল হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গাঁজা চাষের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও দুলালের বিষয়ে খোঁজ নিতে তার স্ত্রীকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানায় গাংনী থানার একটিসূত্র।