গাংনী প্রতিনিধি: গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের মুন্সিপাড়া মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দিয়েছেন এক শিশুর মা। গতকাল রোববার দুপুরের দিকে ওই শিশুটির মা গাংনী থানায় হাজির হয়ে এই অভিযোগটি দায়ের করেন। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এখলাছুর রহমান কাজিপুর গ্রামের পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার একরামুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিশুটির মায়ের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেহেতু শিশুটির বয়স মাত্র ৭-৮ বছর। তার শারীরিক গঠনও অত্যন্ত ক্ষীণ। এছাড়া মেয়ের মা বলেছেন, আমার মেয়েকে ওই শিক্ষক বলেছে এখানে সুয়ে পড়ো।
কাজিপুর ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মহন আলী জানান, শনিবার সকালের দিকে এখলাছুর রহমান শিশুটিকে পাঁকা কাঁঠাল খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যায়। পরে সেখানে শিশুটির জামা কাপড় খোলার চেষ্টা করলে শিশুটি চিৎকার দেয়। শিশুটির চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে মাদরাসা শিক্ষক এখলাছুর রহমান পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে আমার কাছে আসেন। আমি মেটানোর চেষ্টা করেছি। পরে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায় ওই পরিবারটি। কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম হুসাইন বলেন, আজকে ওই পরিবারটি আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়া গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেন। গতকাল (শনিবার) থেকে বিচারের নামে কালক্ষেপণ করায় ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহন আলীর ওপরে। গতকাল রোববার সকালের দিকে কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। তবে, মহন আলী মেম্বার বলেন, বিচারের জন্য আমার কাছে আসায় আমি তাদের থানার সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি।