খামারিদের সঙ্গে শক্ত মেলবন্ধন তৈরি করতেই এমন আয়োজন

চুয়াডাঙ্গায় দুুুই দিনব্যাপী ত্রি-জেলা গরু মেলা উদ্বোধন : আজ পুরস্কার বিতরণী

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা-চট্টগ্রামের পর এবার প্রান্তিক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গায় গরু মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)। চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুুুদিন ব্যাপী এই গরু মেলা শুভ উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। এই মেলায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া মিলে ত্রি-জেলার খামারিরা তাদের বিশেষ মানের গরু নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করেন। তবে এই মেলায় আগামীদিনের মাংসের চাহিদা ও পুষ্টিকর খাদ্য স্বয়ংসম্পন্ন হবে বাংলাদেশ।
মেলার শুরুতে সকাল ১১টায় মেলা উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের নেত্রীবৃন্দ ও জেলার ভেটোনারি চিকিৎসকগণ। এ সময় উদ্বোধন সভার প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেন, আজকে যে গরু মেলার আয়োজনে মাধ্যমে সবাই জানতে পারবে গরুর বিভিন্ন জাত সর্ম্পকে। এই মেলার উদ্দেশ্য আমাদের বাংলাদেশের মাংসের যে চাহিদা তা মেটানো যায়। দেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পন্ন হবে বাংলাদেশ। আজকে এই মেলার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হবে। সরকারের আগামী যে প্রাণী সম্পদের খাতের যে অগ্রযাত্রা সেটা এই মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে গৌ খাদ্যের যে দামটা কমানোর জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। প্রাণীসম্পদ খাতটা আরও কিভাবে বাড়ানো যায় সেটার লক্ষ্যে কাজ করবে আজকের এই গরু মেলা।
জানা গেছে, এ মেলায় উঠেছে ২৫০টির মতো আকর্ষণীয় গরু। গরু কেনাবেচার পাশপাশি খামারিরা একে অপরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন। থাকছে জমকালো র‌্যাম্প শো ও আকর্ষণীয় পুরস্কার। কম দামে গরুর সুষম খাদ্য তৈরি ও জাত উন্নয়ন বিষয়ক দুটি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবেন বিশেষজ্ঞরা। সারাদেশে ৫০ হাজারেরও বেশি খামারি এ সংগঠনের সদস্য। প্রতি বছর প্রাণী প্রদর্শনী ও খামারি সম্মেলনের আয়োজন ছাড়াও এ খাতের নানা দাবি নিয়ে সরব থাকে বিডিএফএ। দুদিন ব্যাপী এ গরু মেলায় অংশ নিয়েছে সারাদেশে তিন হাজারেরও বেশি খামারি। মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া মিলে ত্রি-জেলা গরু মেলা ঘিরে গ্রামীণ জনপদের খামারগুলোতে উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই। নিজের সবচেয়ে আকর্ষনীয় গরু মেলায় উঠতে শুরু হয়েছে।
মেলায় যেন কোনো ভাবে কোনোরকম কোনো গরু অসুস্থ যেন না হয় সেজন্য রয়েছে ভেটোনারি টিম। এই প্রথম চুয়াডাঙ্গাতে গরু মেলা হওয়াতে মানুষের আনাগোনা যেন উৎসব মুখোর।
গরু মেলায় অংশগ্রহণকারী খামারিরা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে গৌ খাদ্যের অনেক দাম। অপরদিকে মাংসের দামও বেশি। তাই মাংসের দামটা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বর্তমানে বাংলাদেশে গরুর চাহিদা বাড়াতে হবে। একই সাথে বাড়াতে মাংসের চাহিদা। তাহলে বাংলাদেশে মাংসের দামও কমবে। তাহলে কেউ অপুষ্টিতে মারা যাবে না। বাংলাদেশে খাদ্য সয়ংসর্ম্পুণ হবে। এই মেলা থেকে প্রত্যাশা থাকবে পাশের দেশ ভারত থেকে যেন কোনো দেশে গরু প্রবেশ না করে।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র খামারিদের সুখ-দুঃখ সেভাবে উঠে আসে না। এ মেলার মাধ্যমে খামারিরা নীতি নির্ধারকদের কাছে তাদের সমস্যা তুলে ধরবেন। এ ছাড়া সারাদেশের খামরিদের সঙ্গে শক্ত মেলবন্ধন তৈরির জন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে। তৃণমূলের খামরীদের উৎসাহ দেওয়া, অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রশিক্ষণ এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরতেই গরু মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মেলার প্রধান অতিথি সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেন, এ মেলার উদ্দেশ্য দেশে মাংসের চাহিদা পূরণ করা। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হবে। সরকারের প্রাণিসম্পদ খাতের যে অগ্রযাত্রা সেটা এ মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।
সারাদেশে ৫০ হাজারেরও বেশি খামারি বিডিএফএর সদস্য। প্রতিবছর প্রাণী প্রদর্শনী ও খামারি সম্মেলনের আয়োজন ছাড়াও এখাতের নানা দাবি নিয়ে সরব থাকে সংগঠনটি।
দুই দিনব্যাপী এ গরুমেলায় অংশ নিয়েছেন সারাদেশের তিন হাজারেরও বেশি খামারি। মেলায় গরুর চিকিৎসার জন্য রয়েছে ভেটেরিনারি টিম। প্রথমবারের মতো গরুমেলার আয়োজন করায় চুয়াডাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
বিডিএফএর সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র খামারিদের সুখ-দুঃখ সেভাবে উঠে আসে না। এ মেলার মাধ্যমে খামারিরা নীতিনির্ধারকদের কাছে তাদের সমস্যা তুলে ধরবেন। সারাদেশের খামারিদের সঙ্গে শক্ত মেলবন্ধন তৈরির জন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে।