দর্শনা অফিস: কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন দিনদিন জমে উঠতে শুরু করেছে। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আনন্দ-উল্লাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোতে বাড়ছে ভোটারদের ভীড়। ভোটের আলোচনায় মুখরিত হয়েছে কেরুজ আঙিনা। তবে কেন যেন কাটছে না ধোয়াশা। ফ্যাসিস্টের দোষরদের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি উঠেছে জামায়াত ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে। এ নিয়েও কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। বিকেলেই নির্বাচনী এলাকা বিবরণ ও খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ৮ মার্চে ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্তিতে আপত্তি ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। আজ ৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন। দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। রাত ৮টার মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ মার্চে প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। ১৪ মার্চ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করা হবে।
এদিকে এ নির্বাচনে ফ্যাসিস্টের দোষরেরা যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক কল্যাণ সংস্থার নেতৃবৃন্দ এ লক্ষ্যে তারা গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে দেখা করে এ দাবি জানায়। এদিকে দর্শনা ছাত্রদলের বেশ কিছু নেতাকর্মী বিকেলে মানববন্ধন করেছে প্রেসক্লাবের সামনে। সেখানেই ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ দাবি তুলেছেন কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে যাতে ফ্যাসিস্টের দোষররা অংশ নিতে না পারে। তাদের প্রতিহত করতে সকলকে সোচ্চার আহ্বান জানানো হয়। এবারের নির্বাচনী সভাপতি পদে নাম শোনা যাচ্ছে সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ ও তৈয়ব আলীর। সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, হাফিজুল ইসলাম ও জয়নাল আবেদীন নফর। এছাড়া কমিটির ২৫টি পদের বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন শতাধিক। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন, মিলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুছ ছাত্তার, সদস্য সচিব, চিনিকলের প্রকৌশলী (পরিবহন) আবু সাঈদ, সদস্য উপ-ব্যবস্থাপক (পার্সোনাল) আল আমিন, উপ-ব্যবস্থাপক (হিসাব) শেখ জাবেদ হাসান ও সম্প্রতি রাজশাহী চিনিকলে সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) ডিস্টিলারি, জহির উদ্দিন বদলি হওয়ায় সেখানে নতুন করে নেয়া হয়েছে জুনিয়র অফিসার (ভূমি) আফজালুর রহমানকে।